রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক ভোরের চেতনার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন  জগন্নাথপুরে স্কুল শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা নতুন ইসি শপথ নেবেন রোববার দীর্ঘ ১৩ বছর পরে বিশিষ্ট কলামিস্ট, লেখক ও সাংবাদিক সায়েক এম রহমান এর বাংলাদেশে আগমন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সৈয়দ তালহা আলমকে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা  জগন্নাথপুরে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর; সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা জগন্নাথপুরে যুক্তরাজ্যের এএন টিভি’র পরিচালকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা একযুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মজলিশে শূরা গঠন সুনামগঞ্জ- ৩ আসন; মনোনয়নের ব্যাপারে দৃড়ভাবে আশাবাদী: একান্ত সাক্ষাত কারে বিএনপি নেতা কয়ছর এম আহমদ

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যা মামলায় সাবেক শ্বশুর রিমান্ডে

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যা মামলায় সাবেক শ্বশুর রিমান্ডে

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং অনলাইন পোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন এ আদেশ দেন। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক এবং নিহত সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর।
এদিকে নদী হত্যার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়নি। নদীর মায়ের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার হলেও অন্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ জন্য বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সুবর্ণা নদী পাবনা শহরের রাধানগরের ভাড়া বাসায় তার ৭ বছরের একমাত্র মেয়ে জান্নাত, বড় বোনের ছেলে আলিফ হোসেন (৭) এবং মা মর্জিনা বেগমকে নিয়ে থাকতেন।
গত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসার গেটের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৪ থেকে ৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত নদীর ওপর হামলা চালায়। তারা নদীর ঘাড়ে, পিঠে এবং গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার পরদিন নদীর মা ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস ও শিমলা ডায়াগনস্টিকের মালিক এবং নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেন (৬০), তার ছেলে নদীর সাবেক স্বামী রাজিব (৩৫), রাজিবের সহকারী মিলনসহ (৩৪) অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা করেন।
এই মামলার পর আবুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার দেখায়। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রাতেই আবুল হোসেনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার আবুল হোসেনকে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক অরবিন্দ সরকার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে নিহত নদীর বড় বোন চাম্পা খাতুন বলেন, পুলিশ বলছে অন্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সব আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com