সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শান্তিগঞ্জে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৪০ মহান ভাষা দিবস পালনে শান্তিগঞ্জে প্রস্তুতি সভা জগন্নাথপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০, গুলিবিদ্ধ ১ সুনামগঞ্জে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেলা বন্ধ না হলে, লংমার্চ টু মেলা! জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের কমিটি গঠন জগন্নাথপুরের সাংবাদিকদের সাথে এমপি প্রার্থী এডভোকেট ইয়াসিন খানের মতবিনিময় ডুংরিয়া ঘরুয়া ইয়াংস্টার ৩য় ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন  জগন্নাথপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্হ দের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরন জগন্নাথপুরে ইউএনও এর সাথে কমিউনিটি নেতা মুজাক্কির আলীর বৈটক

অবসরের পর গ্রামে থাকব: প্রধানমন্ত্রী

অবসরের পর গ্রামে থাকব: প্রধানমন্ত্রী

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের পর গ্রামে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব, আমি আমার গ্রামে চলে যাব এবং এটিই আমার সিদ্ধান্ত।’
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা পার্টি’র (ভিডিপি) ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের পারফরমেন্স প্রদর্শন করেন।
আনসার ও ভিডিপি লেকে আনসার সদস্যদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৌকায় উঠে দুই শিশুর নৃত্য দেখে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, নৌকায় এই দৃশ্য দেখে তার কিশোর বেলার স্মৃতি স্মরণে আসছে।
শেখ হাসিনা তার স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘আমার পিতামহের একটি বিরাট পানসি নৌকা ছিল, এটিতে দুইটি কক্ষ ও জানালা ছিল। আমি যখন এটিতে উঠতাম, জানালার কাছে বসে আমার হাত দিয়ে পানি স্পর্শ করতাম।’
তিনি বলেন, ‘নৌকায় অন্যরাও থাকত বিশেষ করে আমার ভাই (শেখ) কামাল, সে নৌকার ছাদ থেকে লাফ দিত এবং নৃত্য করত। যখন আমি নৌকা দেখি, আমার কিশোরী বেলার স্মৃতি স্মরণে আসে।’
প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার তার সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রামের লোকদের কাছে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেয়া, যাতে তারা উন্নত জীবন পায় এবং সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আজকের শিশুদের আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ চাই পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিভিত্তিক হয়ে উঠুক। আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন, তার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা।
‘আমাদের অঙ্গীকার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। আমরা ক্ষুধা দূর করেছি এবং উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমিয়ে এনেছি। দারিদ্র্য হার আরও কমিয়ে আনব, বাংলাদেশ আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে, এ জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা প্রতিটি গ্রামে পরিবর্তন আনবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ এবং আমাদের মাতৃভূমি গঠনে আমাদের সবাইকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের মাথা সমুন্নত রাখতে পারি, আমাদের অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়। আমরা নিজস্ব সম্পদে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীবৃন্দ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, কূটনীতিকবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com