মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জগন্নাথপুর উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন হাওরের বেরীবাধঁ নির্মাণের তদারক কমিটির নেতৃবৃন্দ, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের নেতারা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করে তাঁরা সার্বিক কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাওরের ফসল উঠার আগ পর্যন্ত বেড়িবাঁধের কাজে শ্রমিক নিযুক্ত রেখে ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধন করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের প্রতি নির্দেশনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহ্ফুজুল আলম মাসুম।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাওরের ফসলরক্ষা পর্যবেক্ষণ উপজেলা কমিটির সভাপতি মাহ্ফুজুল আলম মাসুম, পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার ও হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম,সদস্য সচিব সাংবাদিক অমিত দেব,কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার,উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আশীষ চক্রবর্তী, টেকনিশিয়ান অরুপ সরকার,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী,মু্ক্তিযোদ্ধা আব্দুল হকসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির দায়িত্বশীলরা হাওরের বেরীবাধঁ গুলো পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন।
ইউএনও মাহফুজুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি টিমে ৩০ টি প্রকল্প পপরিদর্শন করা হয়।পরিদর্শনকালে কিছু কিছু প্রকল্পে বৃষ্টির কারণে কিছু ত্রুটি পাওয়া যায়। ত্রুটি বিচ্যুতি নিরসন করতে প্রকল্প এলাকায় শ্রমিক নিযুক্ত রেখে ত্রুটি সংশোধন করতে বলেছি। তিনি বলেন,প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় অনেক প্রকল্পে শ্রমিক নেই।বুধবার বৃষ্টিতে কিছু কিছু অংশ গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। শ্রমিক দিয়ে সাথে সাথে তা সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন,জনগনের সম্পৃক্ততায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে যে ভাল কাজ করা যায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কিছু কিছু প্রকল্প দেখে তা মনে হয়েছে। তিনি বলেন,হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে প্রশাসন প্রতিযোগীতা তৈরি করায় কাজ ভাল হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা সবাইকে রক্ষা করতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ফসল ঘরে উঠার আগ পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের কে ফসল উঠার আগ পর্যন্ত বাঁধের কাজ পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন,জগন্নাথপুর উপজেলার সার্বিক কাজ সন্তোষজনক।
Leave a Reply