বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট বেহাল সড়কের বড় বড় গর্তে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন গর্তের ভাঙনে পড়ে ধেবে আটকে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। প্রায় প্রতিদিনই বড় বড় গর্তে গাড়ি ধেবে যায়। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আজ দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষ যেন নির্বিকার। বড় বড় গর্ত মেরামতের জন্য সম্প্রতি ১৩লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও নাম মাত্র কাজ করে অধিকাংশ টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের হামজা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় সড়ক ভাঙনের বিরাট গর্তে পড়ে দুটি মিনিবাস ধেবে আটকে যায়। ধেবে যাওয়া গাড়িগুলো উদ্ধারে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় দিন ব্যাপী এ সড়ক দিয়ে কোন প্রকার বড় গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এধরনের ঘটনা নিত্যদিনের হয়ে দাড়িয়েছে। যে কারণে দুর পাল্লার যাত্রীসাধারণ অনাকাঙ্খিত ভোগান্তির শিকার হন। এ এলাকার যাত্রী সাধারণের চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়কের ভাঙনে মেরামত কাজ করার ব্যবস্থা হচ্ছে।
এছাড়া-গত প্রায় ২ বছর ধরে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। বেহাল সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায়ই এসব গর্তে ভারি যানবাহন ধেবে গিয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক আন্দোলন করেও কাজ হচ্ছে না। এ সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকেন চালকরা। কখন ঘটে দুর্ঘটনা। যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভোগান্তির শেষ কোথায় কেউ জানেন না। কর্তৃপক্ষ বারবার আশার বাণী শোনালেও বাস্তবে সড়কে টেকসই মেরামত কাজ হচ্ছে না। শুধু ভাঙনের গর্তে সামান্য জোড়াতালির কাজ করে কোন রকমে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। কয়েকদিন পর আবারো বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এভাবেই চলছে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিজ চোখে না দেখলে কেউ বুঝবেনা এটা সড়ক না মরণ ফাঁদ।
Leave a Reply