বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে ধর্ষণের পর কিশোরীকে নদীরপাড়ে ফেলে গেল প্রেমিক! জগন্নাথপুরে মোবাইলের দোকানে দুঃসাহসিক চুরি জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সভায় বক্তারা, কয়সর আহমদকে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে দেখতে চাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন জগন্নাথপুরে সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়কালে সেনেটারি মিস্ত্রি নিহত  ভূয়া নির্বাচনের কারিগর নূরুল হুদাকে জুতাপেটা দিয়ে পুলিশে সৌর্পদ সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা ডিসেম্বরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে পারে: ডা. তাহের ‘হতাশ’ নেতানিয়াহু, ট্রাম্পকে দ্রুত যুদ্ধের মাঠে চান: বিশ্লেষক

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না সেই কোরআনের হাফেজ!

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না সেই কোরআনের হাফেজ!

 

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক ::

রাজশাহীর বাঘায় হতদরিদ্র ভ্যানচালকের মেধাবী ছেলে কোরআনের হাফেজ নূরনবী চাঁদ মানিক ২০১৯-২০২০ শিক্ষা বর্ষে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার উত্তর গাঁওপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যানচালক আসমত আলীর ছেলে নূরনবী চাঁদ মানিক। সংসারের অস্বচ্ছলতার জন্য মাঝে মধ্যে বাবার সঙ্গে ভ্যান চালালেও মনোবল না হারিয়ে এতদিন লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন।

নূরনবী চাঁদ মানিক ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি-ইউনিটে, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-ইউনিটে, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডি-ইউনিটে, পাবনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ-ইউনিটে এবং ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন।

কিন্তু ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও হতদরিদ্য ভ্যানচালক বাবা ছেলের লেখাপড়া একেবারে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন।

তার মুখ এখন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে উচ্চতর লেখাপড়া শিখিয়ে দেশের সেবা করাবে। কিন্তু তার আশা কে করবে পূরণ? যার নুন আনতে পানতা ফুরায়। ভ্যান চালিয়ে সামান্য উপার্জন দিয়ে ছেলের দু’মুঠো খাবার জোগানোই যার দূরহ ব্যাপার। সে কিভাবে ছেলেকে শহরে পড়াবে।

এ ব্যাপারে নূরনবী চাঁদ মানিকের বাবা আসমত আলী বলেন, এতদিন ভ্যান চালিয়ে খেয়ে না খেয়ে কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ছেলেকে স্কুল-কলেজে পড়িয়েছি। এখন কি করে শহরে পড়াব। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়েছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।

এ অবস্থায় ছেলেকে লেখাপড়া করানো আমার পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। ছেলে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।

নূরনবী চাঁদ মানিক বলেন, এতদিন বাড়ির কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় খেয়ে না খেয়ে স্কুলে-কলেজে পড়িয়েছি। কিন্তু এখন শহরে পড়ার মতো বাবার অর্থ নেই। ফলে খুব চিন্তায় আছি। স্থানীয় জায়গায় লেখাপড়া করতে গিয়ে আমার বাবা অনেক কষ্ট করেছে। আমি নিজে বাবার ভ্যান চালিয়ে কোন্ কোন্ সময় খরচ চালিয়েছি। এখন শহরে পড়ানো আমার বাবার পক্ষে সম্ভব না।

তবে বাঘা ফাজিল মাদ্রাসার লিপি ম্যাডাম ও তার স্বামী প্রভাষক মুক্তি মাহমুদ সহযোগিতা না করলে লেখাপড়া অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত। নূরনবী চাঁদ মানিক ৩০ পারার কোরআনে হাফেজও। তিনি প্রতিটি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com