বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও নির্ধারিত তারিখে দোকানঘর  নিলাম হয়নি!   সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু তে প্রবাসী  সাংবাদিক তৌফিক আলী মিনার এর শোক জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই: প্রেসক্লাবের শোক এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি জগন্নাথপুরে সার-বীজ বিতরন কালে সাবেক মন্ত্রী, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে

রাজশাহীর মাটির মায়া কাটাতে পারেননি এন্ড্রু কিশোর

রাজশাহীর মাটির মায়া কাটাতে পারেননি এন্ড্রু কিশোর

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্কঃ   তিনি রাজশাহীকে সবসময় বুকে ধারণ করতেন। তার শেষ ইচ্ছে ছিল রাজশাহীর মাটিতেই শায়িত থাকবেন। কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোর জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেও একদিনের জন্য রাজশাহীকে ভুলেননি। জন্ম, শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের শত স্মৃতি বুকে ধারণ করেই সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ৬৫ বছর বয়সে লক্ষ কোটি ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরলোকে চলে গেলেন এন্ড্রু কিশোর।

গত বছর মার্চে সিঙ্গাপুর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই রাজশাহীতে যান শিল্পী। ওই সময় স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতোই সময় কাটিয়েছেন। আড্ডা হৈ হুল্লোড় খাওয়া দাওয়া কোনো কিছুই বাদ যায়নি।

শিল্পীর স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী অধ্যাপক দীপকেন্দ্র নাথ দাস বলছিলেন, এন্ড্রু কিশোর রাজশাহীর কথা, রাজশাহীর বন্ধুদের কথা, রাজশাহীর সব শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মিশতেন। সময় কাটাতেন। তুমুল ব্যস্ততার সময়েও ছুটে আসতেন রাজশাহীতে। সবাইকে ডেকে নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতেন। রাজশাহীতেও ব্যক্তি এন্ড্রু কিশোর ছিলেন সবার ভালোবাসার মানুষ।

গত মার্চে শেষবার রাজশাহীতে ফিরে নিজেই বলেছিলেন আমি রাজশাহীর মাটি ও মানুষের মাঝে থাকতে চাই। আমার শেষদিনও যেন রাজশাহীর সুর্যালোকে আলোকিত থাকে সেটি আমার শেষ ইচ্ছে।

অধ্যাপক দীপক দাস আরও বলেন, অত্যন্ত সরলপ্রাণ মানুষ এন্ড্রু কিশোরকে রাজশাহীর মানুষ আজীবন মনে রাখবে।
রাজশাহীতে জন্মেও নিজের পৈতৃক কোনো বাড়িঘর ছিল না শিল্পীর। মহিষবাথানের মাতৃসম বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের সেই বাসাটাই ছিল শিল্পীর সুখ-দুঃখের শেষ গন্তব্য। ঢাকা থেকে ফিরেও এই বাসাতেই থাকতেন। রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিলেও সেই বাসাতে থাকার সুযোগ হয়নি এন্ড্রু কিশোরের। গত বছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার খরচ জোগাতে অ্যাপার্টমেন্টটি জরুরিভাবে বিক্রি করে দেন।

সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে ঢাকার বাসায় কয়েকদিন থাকলেও রাজশাহীতে চলে যান এন্ড্রু কিশোর। বোনের বাসাতেই তার ঠাঁই হয় যেখানে কেটেছে তার শৈশব কৈশোর। ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেও তিনি এই বাসাতেই উঠতেন। সোমবার সন্ধ্যায় হাজারো স্মৃতির আধার এই বাসাতেই শেষ গন্তব্যে চলে যান তিনি।

শিল্পীর বোন ডা. শিখা বিশ্বাস জানান, এন্ড্রুকে তিনি মায়ের স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসায় বড় করেছেন। এত বছর বয়সেও এন্ড্রু ছিল তার কাছে সেই অবলা সন্তানের মতোই। খাবার বায়না ধরতেন, শিশুসূলভ আচরণ করতেন। গান করতেন। শিল্পীর গভীর স্মৃতি মমতা এখন শুধুই তাকে কাঁদাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com