শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের নিম্নাঞ্চল ফের বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গত দুইদিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালি, দাসনাগাঁও হরিণাকান্দি, গাদিয়ালা, বেরী, পৌর এলাকার যাত্রাপাশা, শেরপুর, পশ্চিম ভবানীপুর, কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা, জগদ্বীশপুর, কামারখাল, গলাখাই, নোয়াগাঁও, কান্দারগাঁও, পাড়ারগাঁও, নাদামপুর, হিজলা, মজিদপুর, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর, বাগময়না রৌয়াইল গ্রামসহ কমপক্ষে ৪০টি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়া শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে এবং আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
রোববার (১২ জুলাই) কলকলিয়া ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় ইউনিয়নের ১ হাজার ২শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছিলেন। গত কয়েকদিনে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দ্বিতীয় দফা বন্যায় এবার ৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ৩৫টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আজ দুই শতাধিক দুর্গত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা জানান, বন্যায় ইউনিয়নের চার গ্রামের ৬ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চার শতাধিক বসতঘরে পানি উঠেছে।
দাসনাগাঁও গ্রামের ইউপি সদস্য রনধীর কান্ত দাস নান্টু জানান, বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫০টি পরিবার। তাদেরকে উঁচু এলাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই দফা বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম জানান, বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply