বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে অটোরিক্সা চালক সুজিত হত্যাকাণ্ডঃ অটোরিকশা ও চাকুসহ গ্রেফতার- ৩ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত জগন্নাথপুরে সংর্ঘষে সুজাত উল্যাহ হত্যা ৮০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা জগন্নাথপুরে সুজিত হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল জগন্নাথপুরে উৎসাহ উদ্দিপনায় শেষ হলো আল ইসলাহ’র কাউন্সিল জগন্নাথপুর পৌর আল ইসলাহর ২০২৪ এর কাউন্সিল সম্পন্ন জগন্নাথপুরে অটোরিক্সা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার যান চলাচল বন্ধ; জগন্নাথপুরের মহাসড়কে আবারও সেই সেতুর পাটাতন ভেঙে আটকে গেলো ট্রাক সেমিনারে তারেক রহমান; আগামীর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীও স্বেচ্ছাচারী হতে পারবে না জগন্নাথপুরে কিশোর হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেপ্তার ২

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে চায় পরিবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মির্জা ফখরুলের ফোন

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে চায় পরিবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মির্জা ফখরুলের ফোন

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্কঃ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায় পরিবার। এ জন্য সোমবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

এর আগে সোমবার ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিকালে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে  তিনি স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন।

এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে চায় পরিবার। তার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। এজন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তার পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে আলাপ করেন। তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের অন্যান্যদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে জানানো হবে।

এ ব্যাপারে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে টেলিফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাননীয় মন্ত্রীকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যগত বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত আবেদন দেননি।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে লিখিত কোনো আবেদন এখনও করা হয়নি ।

এদিকে রাত ৮টার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর কিনা, তিনি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে  ডা. জাহিদ বলেন, করোনারি কেয়ার ইউনিটে যখন যে রোগী থাকেন তারা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেন।  আমি উনার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কথা বলে এসেছি। ম্যাডাম স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, সোমবার ভোরে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এর পরপরই বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হয়। পরে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্তে ম্যাডামকে সিসিইউতে নেয়া হয়। তার রোগমুক্তির জন্য খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।

কি কারণে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষের যে কোনো সময়, যে কোনো পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ম্যাডামের সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী যে চিকিৎসকরা  আছেন তাদের সিদ্ধান্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।

তবে খালেদা জিয়ার আবারও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান ডা. জাহিদ হোসেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তির পর সেখানে এক থেকে দুদিন রাখার কথা বলেছিলেন তার চিকিৎসকেরা। তখন তারা (চিকিৎসক) জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার করোনোর কোনো উপসর্গ নেই। তাই তাকে হাসপাতালের নন-কোভিড জোনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একদিন পর চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় । গত রোববার মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে সব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে নতুন করে কিছু শারীরিক পরীক্ষাও দেন।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল আবারও পজিটিভ আসে। ‘ফিরোজা’র বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরো ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হন। তবে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র সব স্টাফরা ইতোমধ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে আরও দু’ দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে  ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com