শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: দেশে তুঘলকি কারবার চলছে। কোথাও কোন জবাবদিহিতা নেই। চলছে ফ্রিষ্টাইল দূর্নিতী -লুটপাট । দীর্ঘ ৫ বছরে ও জগন্নাথপুর – বিশ্ব নাথ -সিলেট সড়কের বিশ্বনাথ অংশের ১৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ সমাপ্ত হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে সড়ক খুঁড়াখুঁড়ির কাজ। কিছু দিন কিছু অংশ খুড়ে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার কিছু দিন পর খুঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। ৫ বছর ধরে এই তুঘলকি কারবার চললেও এ গুলো দেখার যেন কেউ নেই। নেই কোন জবাবদিহিতা। চলছে ফ্রিষ্টাইল দূর্নিতী। এই সড়ক সংস্কার কাজের জন্য কয়েকবছর পর পর মোটা অংকের টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হলেও দায়সারাভাবে কাজ করে সংস্কার কাজে কারচুপির আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের টাকা লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে।টেকসই কাজ না করে সংশ্লিষ্ট দূর্নিতীবাজরা জবাবদিহিতা না থাকায় পার পেয়ে যায়। নিম্ন মানের কাজ করায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের পিচঢালাই ভেঙে রাস্তা খান খান হয়ে যায়।
বর্তমানে সড়কটির পিচঢালাই ওঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের কিছু অংশে ২নং ইটের খোয়া ও সড়কের পূরনো পাথর দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করা হচ্ছে। কাজে ব্যাপক কারচুপি করা হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি চালক সুহেল আহমদ বলেন,সড়কের পূরনো পাথর ও ২নং ইটের খোয়া দিয়ে সড়কটি তে খুবই নিম্ন মানের কাজ করা হচ্ছে ।
সংস্কার কাজে ধীরগতি সড়কের একপাশে লম্বা গর্ত করে কাজ করায় প্রায়ই দুর্ঘটনায় বাস ট্রাক আটকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দারা বিভাগীয় শহর সিলেট ও রশিদপুর হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন।
জানাযায়, জগন্নাথপুর- বিশ্বনাথ- সিলেট সড়কের জগন্নাথপুর – বিশ্ব নাথ ২৬ কিলোমিটার অংশের জন্য ৫২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হলে ২০১৭ ইং সনে একযোগে কাজ শুরু হলে জগন্নাথপুর উপজেলা অংশের ১৩ কিলোমিটারের কাজ ২০১৮ ইং সনের ডিসেম্বর মাসে শেষ হলেও বিশ্বনাথ অংশের কাজ নির্ধারিত সময় অনেক আগে পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি। শাওন এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও দ্বায়িতহীনতার ফলে জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী সহ অত্র এলাকার লাখো মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নিজামুল করিম বলেন, কতৃপক্ষের ও ঠিকাদারের খামখেয়ালি পনার কারনে সড়কের সংস্কার কাজ সমাপ্ত হচ্ছে না দির্ঘ ৫ বছর ধরে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছি । বর্তমানে বেহাল এই সড়কটি দিয়ে গাড়ী চালানো খুবই ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
বিশ্বনাথ উপজেলার শ্রমিক নেতা ফজর আলী বলেন,ইতিপূর্বে সড়কটির কাজ যাতে টেকসই ও মানসম্মত ভাবে করতে এবং দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে আমরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজের গতি বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও কাজ হচ্ছে না।
বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদার কে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply