শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর পয়েন্টে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ২৪ জন মেয়ে শিক্ষার্থী গত ১৪ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা কে নারী ও অর্থ ক্যালেঙ্কারির অভিযোগে চাকুরি থেকে অপসারণ করা হয় । ২০২০ সালের ১২ জুন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সফিকুল আহমেদ ভূঁইয়া মৃত্যু বরন করলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর ভাই রফিকুল আহমেদ নতুন সভাপতি মনোনীত হন। এরপর নতুন কমিটি নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে সাবেক সকল সদস্যর স্বাক্ষর নকল করে তাকে প্রধান শিক্ষক পদে পূর্নবহাল করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য রুবেল মিয়া বলেন, নারী ও অর্থ ক্যালেঙ্কারির অভিযোগে চাকুরি থেকে অপসারণ হওয়া প্রধান শিক্ষক কে আবারও জালিয়াতি করে বহাল করায় আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরাও যৌন হয়রানির অভিযোগে এনে আরেকটি অভিযোগ দেন।
বিদ্যালযের সহকারী শিক্ষক সুহেল আহমেদ বলেন, প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন শিক্ষককে জোর করে চাকুরি থেকে অব্যাহতিন দেওয়া হয়েছে। আমাকেও বিদ্যালয়ে না যেতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা আক্তার বলেন প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কার্যক্রমে বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খুবই লজ্জিত। নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহ আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। তাই মানববন্ধন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিলে এসব মিথ্যাচার করছে।
স্কুল কমিটির সভাপতি রফিকুল হক বলেন, বহিস্কৃত কয়েক জন শিক্ষকের নেতৃত্বে আমাদের বিরুধ্বে মিথ্যাচার করা হচ্ছে ।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম যুগান্তর কে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার সাথে দেখা করেছেন।
দূর্নীতির বিষয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছি। আজকের মানববন্ধনের পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। দুটি কমিটিই পৃথক ভাবে তদন্ত করছে। তদন্ত কমিটির রির্পোট পাওয়া পর আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করবো ।
Leave a Reply