নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার পর নীজ দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সকল পদ হারালেন দলের সহসভাপতি জগন্নাথপুর ও শান্তিগন্জ্ঞ নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি মাওলনা শাহিনুর পাশা চৌধুরী এডভোকেট। ২৪ নভেম্বর দলের প্রেসবিঞ্জপ্তি তে দলীয় শৃংখলা ভংগের অভিযোগে তার সকল পদ স্হগিত করা হয়। প্রেসবিঞ্জপ্তিতে দলীয় প্যাড এ স্বাক্ষর করেন দলের কেন্দ্রিয় প্রচার সম্পাদক মাওলনা জয়নাল আবেদীন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ৯টি ইসলামি রাজনৈতিক দলের অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন বিষয়ে বৈঠক হয় গত বৃহস্পতিবার রাতে।
এ বৈঠকে সুনামগঞ্জ -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী অংশ নেওয়ায় তাঁকে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সকল সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলনা জয়নাল আবেদীন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দলের সহ সভাপতি শাহীনুর পাশা চৌধুরী দলের কোন কোন ব্যক্তিকে দলের সিদ্ধান্ত ও অবস্থানের বিপক্ষে প্ররোচিত করাসহ এমন কিছু কর্মকাণ্ড করেছেন যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি । দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী এমন আচরণ দলের নীতি আদর্শ ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই তার প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়।
এবিষয়ে জানতে অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তর কে বলেন, আমাদের দলের কিছু নেতার সাথে ভূল বোঝাবোঝি হয়েছে।
খবর পেয়েছি আমার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমি দলীয় ফোরামে আমার বক্তব্য তুলে ধরবো।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমার কথা হয়েছে তিনি আমাকে ১০০% সুস্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমি সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে নির্বাচন করবো।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল বলেন, ২০০৫ ইং সনে ৪দলীয় জোটের পদপ্রার্থী হিসাবে সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মীরা জানবাজী রেখে শাহিনুর পাশার জন্য কাজ করে সে সময় তিনি এ এলাকার এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সব ভূলে গেছেন। এখন তিনি মানুষের অধিকারের বিরুধ্বে অবস্হান নিয়েছেন। তার অতি চালাকি ও লোভ এলাকাবাসী বুঝে ফেলেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট জিয়াউর রহিম শাহিন বলেন, পাশা এলাকাবাসীর ভোট পাবে না এলাকাবাসী লালকার্ড দেখাবে সেটা সময়ই বলে দেবে।
উল্লেখ্য , ২০০৫ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুতে তাঁর এই শুন্য আসনে উপনির্বাচনে চার দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন তৎকালীন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুগ্ম সচিব এমএ মান্নান। মাওলানা শাহিনুর পাশার গ্রামের বাড়ী জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী গ্রামে।
Leave a Reply