বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
নিজস্বপ্রতিবেদক: জগন্নাথপুরে বোরো ধানের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল।পরে তিনি কৃষক সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক এই উপজেলার সাংগিয়ারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বের হাওরে ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনী করা হয়েছে।১৮ ই জানুয়ারী রোজ শনিবার বেলা ১১ ঘটিকার সময় এই প্রদর্শনীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে বোরো ধান (উফসী জাত) এর চার রোপণ সহ জমি পরিচর্যা কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। পরে প্রদর্শনী এলাকায় সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিমল চন্দ্র সোম এর সভাপতিত্বে ও জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজন আকন্দর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সমলয় পদ্ধতিতে চারা রোপণ এর উদ্বোধক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ, জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঁইয়া সা-আধ, কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিক মিয়া, কৃষক আঙ্গুর মিয়া এবং ব্যবসায়ী ও কৃষক ইকবাল হোসেন রাসু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ।
সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাদির ও গীতা পাঠ করেন জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুজন সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজ সেবক আব্দুস ছালাম,জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফজলুল হক, কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল কাইয়ূম, মসিক আহমদ, মোজাফফর আলী লিটন, জসীম উদ্দিন মিন্টু, সাদিক আলম, কৃষক ও সমাজ সেবক রফিক মিয়া ও সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর ফরীদি সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নারী-পুরুষ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল বলেন, আমাদের জমি কমছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাড়তি মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ফসলের উৎপাদন বাড়ানো। আর এজন্য দরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার। এর অংশ হিসেবে সমলয় পদ্ধতি কার্যকর। তাই সরকার কৃষিতে প্রণোদনা দিতেছে। কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক সার্বিক সহযোগিতা করছেন। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ করলে, শ্রমিক সংকট নিরসন,সময়, অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ একথায় আবাদ খরচ হ্রাস পায়। সময়ও লাগে কম। রোগ- পোকাকে করা যায় সহজভাবে নিয়ন্ত্রণ। তাই চাষাবাদে কৃষক লাভবান হন। বিধায় সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে সকলকে আহবান জানাচ্ছি।
Leave a Reply