শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তিগঞ্জে সৈয়দ তালহা আলমের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান বিতরণ জগন্নাথপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার  জগন্নাথপুরে পাষন্ড ভাগ্নের ঝাটার আঘাতে মামা নিহত লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন কারাগারে জগন্নাথপুরে  ২ শতাধিক ভাসমান ব্যবসায়ীদের অপসারণ  বিএনপি সরকার গঠন করলে  প্রথম পর্যায়ে ৫০ লক্ষ পরিবার কে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে— কয়ছর এম আহমেদ হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ

সুনামগঞ্জে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে গ্রেপ্তার, কারাগারে অসুস্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

সুনামগঞ্জে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে গ্রেপ্তার, কারাগারে অসুস্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক ::

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রাইজুল (৭৪) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল বুধবার রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যুর তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাতিজা আবু বক্কর। তিনি জানান, গতকাল রাত ১০টা ২০ মিনিটের সময় তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ হাসপাতালে পুলিশের জিম্মায় আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া, কারাধ্যক্ষ আবু সালাম তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কেউই ফোন ধরেননি।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম আলী জানান, থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রিয়াজুল ইসলামকে গত ৩০ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর কোনো খবর জানেন না বলেন জানান তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম উপজেলার বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। দীর্ঘদিন বেলজিয়ামে ছিলেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ের সবাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ভাতিজা আবু বক্কর বলেন, তাঁর চাচার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। কারও সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধও ছিল না। তিনি বাড়িতেই থাকতেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের মিনিট দশেক আগে তাঁকে বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

আবু বক্কর বলেন, তখনো তিনি (রিয়াজুল) অসুস্থ ছিলেন। তিনি ২২টি ওষুধ সেবন করেন। পুলিশকে সব দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠানের কাগজেও (চালান) তাঁর এসব অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছে।

আবু বক্কর জানান, ৪ এপ্রিল তাঁরা জানতে পারেন, কারাগারে তিনি গুরুতর অসুস্থ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঈদের পরদিন ঘটনা হলেও কারাগার থেকে জানানো হয়েছে তিন দিন পর। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কারাগার থেকে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর গতকাল রাতে তিনি মারা গেলেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আবু বক্কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ নিরপরাধ, অসুস্থ মানুষটাকে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে। এরপর হাসপাতালে আমরা বারবার বলেছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমাদের সব সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি।’

সুত্র:: দৈনিক প্রথম আলো

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com