নিজস্বপ্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদ্রাসা মুহতামিমকে নামাজ থেকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাতে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হলে জগন্নাথপুরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার চিলাউড়া–হলদিপুর ইউনিয়নের তলের বন হাওরস্থ মোঃ ফারুক মিয়ার ফার্মের দক্ষিণপাড়া বেড়ীবাঁধের উপর এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মুহতামিম মাওঃ শরীফ উদ্দিন জিয়া (৪৫) উপজেলার চিলাউড়া- হলদিপুর ইউনিয়নের মহিষাকোনা গ্রামের মৃত আবলুছ উল্ল্যাহর পুত্র। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে জগন্নাথপুর পৌরপয়েন্টে চিলাউড়া- হলদিপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে, মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া আজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানায় ৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, মহিষাকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র ছিদ্দেক আলী, ছিদ্দেক আলীর পুত্র মামুন সিদ্দিকি, আব্দুল আহাদের পুত্র কামরুল ইসলাম, মৃত পাইনা মিয়ার পুত্র নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আহাদের পুত্র জুনায়েদ আহমদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় ঘটনাস্থলে পালিত গরু রাস্তায় বেঁধে নামাজ পড়ছিলেন শরীফ উদ্দিন জিয়া। এসময় বর্ণিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে বাম পায়ে রামদা দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার সময় কিল–ঘুষিসহ তাকে শারীরিকভাবে ব্যাপক লাঞ্চিত করা হয়। এ সময় ওই মুহতামিমের পাঞ্জাবীর পকেট থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাওঃ শরীফ উদ্দিন জিয়া বলেন, বিগত প্রায় ২ মাস পূর্বে তারা মাদ্রাসায় এসে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধী দের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply