শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কেউ মব করতে চাইলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুনামগঞ্জে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে গ্রেপ্তার, কারাগারে অসুস্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু প্রবাসী পরিবারের রোষানলে পড়ে এক বছর ধরে বাড়ি ছাড়া জগন্নাথপুরের টমটম চালক আহমদ আলী ৩৬ টাকায় বোরো ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল ফিলিস্তিনে নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে সুবিপ্রবিতে র‍্যালী ও বিক্ষোভ সমাবেশ  জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওর পরিদর্শনে  জেলা প্রশাসক,ধান পেকে গেলে দ্রুত কাটার তাগিদ ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায়  গণহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ  গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ  গাজায় গনহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির প্রথম সভা

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যায় মামলা, সাবেক শ্বশুর গ্রেফতার

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যায় মামলা, সাবেক শ্বশুর গ্রেফতার

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহত সাংবাদিকের মা বুধবার বিকাল ৩টায় পাবনা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় সুবর্ণার সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলার পরই পুলিশ আবুল হোসেনকে (৬০) গ্রেফতার দেখায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর সাবেক স্বামী রাজিবের বাবা।
তিনি ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানি) এবং শিমলা ডায়াগনস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
পাবনা থানার ওসি ওবাইদুল হক যুগান্তরকে জানান, নিহত নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় তিনজন এজাহার নামীয় এবং ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পরই পুলিশ প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় নিজ বাসার সামনে সুবর্ণা নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
পুলিশ বলছে, ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে সুবর্ণা হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বুধবার দুপুরে পাবনা শহরে মানববন্ধনসহ সমাবেশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ।
জানা গেছে, সুবর্ণা নদী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলার কারণেই সুবর্ণাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
মঙ্গলবার রাতে নিহতের বড় বোন চম্পা খাতুন যুগান্তরকে জানান, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
এরপর সুবর্ণা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন।
গতকাল এ মামলার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ছিল। এতে সুবর্ণা তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেন।
চম্পার দাবি, মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুবর্ণাকে হত্যা করেছে।
বুধবার সকালে সুবর্ণার মা মর্জিনা বেগম যুগান্তরকে বলেছেন, মৃত্যুর আগেই তার মেয়ে হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন। সাবেক স্বামী রাজীব ও রাজীবের সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়েছেন বলে হাসপাতালে আহতাবস্থায় জানিয়েছে সুবর্ণা।
এদিকে বুধবার বাদ জোহর পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজায় গণমাধ্যমকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। পরে তাকে পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট গোরস্থানে দাফন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com