রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: আরবান প্রাইমারী হেল্থ কেয়ার প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথপুর পৌরসভায় প্রাইমারী হেল্থ কেয়ার সেন্টার নির্মাণ করা হবে।
গতকাল অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১১টি সিটি কর্পোরেশন ও জগন্নাথপুর ও দিরাই পৌরসভাসহ ১৪টি পৌরসভায় এই প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩৬ কোটি টাকা।
শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এই প্রকল্পসহ একনেক সভায় মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএ মান্নান বলেন, ‘দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। ১২ শতাংশ জমির উপর ৬ তলাবিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এই চিকিৎসা কেন্দ্রে ৬ জন চিকিৎসকসহ নার্স, কর্মচারী ও এম্বুলেন্স থাকবে। প্রকল্পের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জগন্নাথপুর ও দিরাই পৌর এলাকার নারী-শিশুসহ দরিদ্র লোকজনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে। চলতি মাসেই জগন্নাথপুরে এই প্রকল্পের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়া হবে। ’
জানা যায়, পৌরসভায় প্রাইমারী হেল্থ কেয়ার সেন্টার যেসব সেবা প্রদান করা হয় তা হলো- গর্ভকালীন, প্রসবকালীন (নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান সেকশন), প্রসব-পরবর্তী, মাসিক নিয়ন্ত্রণ, গর্ভপাত-পরবর্তী, পরিবার পরিকল্পনা, নবজাতক, শিশুস্বাস্থ্য, প্রজণন স্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যবিষয়ক, পুষ্টি, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ রোগ, আচরণ পরিবর্তনের জন্য যোগাযোগ, রোগ নিরূপণের জন্য প্যাথলজি, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং বিশেষ মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে।
আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের সাবেক উপ প্রকল্প পরিচালক ও সুনামগঞ্জের সদ্য বিদায়ী সাবেক জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন,‘ প্রতিটি হেল্থ কেয়ার সেন্টারে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সাধারণ সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া দরিদ্র নারীদের বিনামূল্যে প্রসবকালীন সেবা, এমনকি ফ্রি সিজার পর্যন্ত করা হয়ে থাকে। নারীদের চিকিৎসাসেবা দিন-রাত দেয়া হয়। প্রতিটি সেন্টারে ৬জন চিকিৎসক, নার্সসহ মোট ৩২ জন লোক থাকে। ’
Leave a Reply