মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও বিএনপির এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সোনাইমুড়ী বাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতেব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হন।পরে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা৩০টি দোকান ভাঙচুর ও ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।
আহতরা হলেন-গুলিবিদ্ধ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, পিএস ইকবাল হোসেন রুবেল (৩০), ছাত্রদল নেতা সোহেলকে (৩০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী রায়হান (৩২), বিএনপির কর্মী খোকন (৪২), হারুন (৩৫), ফারুক (৩৩), মজিদ (৩৫), নাজমুল (৩২), রিয়াদ (৩১), সেলিমসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা গুলিবিদ্ধ ও আহতদের চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে উপজেলা সোনাইমুড়ী বাজারের প্রধান সড়কে এ আসনের বিএনপির এমপি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের গণসংযোগ চলাকালেএ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে ওসি নিজেই ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিঠে ৫টি, থুতনিতে ১টি ও হাতে ২টি রাবাল বুলেট ছুড়ে। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিএসসহ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও ওসি এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় তিনিসহ ২০ জন গুলিবিদ্ধ হন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বিএনপির এমপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দাবি করে বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাইমুড়ী বাজারে প্রধান সড়কের পাশে আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করেছি। এ সময় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীরা গণসংযোগে বাধা দিয়ে ১০-১২ জন কর্মীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে, বিএনপি সমর্থিত ৩০-৪০টি দোকান ভাঙচুর করে।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের বিএনপির কর্মীরা ধাওয়া করলে ওসি আবদুল মজিদ নিজেই আমার মুখের নিচে (থুতনিতে), পিঠে ৫টি, হাতে ২টি, থুতনিতে ১টি গুলি, পিএস ইকবাল হোসেন রুবেলের পায়ে গুলিসহ ২০ জন নেতাকর্মীকে গুলি করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপি এমপি প্রার্থী, কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাইমুড়ী বাজারে প্রধান সড়কে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেছেন। আগে থেকে ওৎ পেতে থেকে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারী কর্মীরা গণসংযোগে বাধা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ১০-১২ জনকে আহত করে।
বিএনপির সমর্থিত ধানসিঁড়ি হোটেল, নুরু মিয়ার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ডাক্তার গাজির ফার্মেসি, জয়নালের ফার্মেসি, টুটুলের মুদি দোকান, হলি স্কয়ার হাসপাতালসহ ৩০-৪০টি দোকান ভাঙচুর করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের ধাওয়া করলে ওসি দৌড়ে নিজেই গুলি করেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুল মজিদ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে যুগান্তরকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার পিএসসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
Leave a Reply