শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার অবৈধ সম্পদের মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন বছরে এটাই দুদকের প্রথম কোন মামলা। দুদকের সহকারি পরিচালক ও অনুসন্ধানকারি কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি রুজু করবেন বলে জানা গেছে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, আফরোজা আব্বাস একজন গৃহীনী। কিন্তু তার স্বামী মির্জা আব্বাসের বিভিন্ন খাতের টাকা স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আফরোজা আব্বাস নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।
দুদকের মামলায় আরও বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, ঢাকা ব্যাংকে তার ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০৬ টাকার শেয়ার, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিতে ১০ কোটি টাকার শেয়ার, এফডিআর ও বিনিয়োগ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। এই টাকাসহ তিনি দুদকে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকার সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন।
এই টাকার বিষয়ে দুদক আফরোজা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলুর কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ ও বাবা মা এবং বোনের কাছ থেকে ১কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে নিয়েছেন। তবে তিনি এর স্বপক্ষে কোন রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি বলে মামলায় বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, মূলত ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে অর্থ অর্জন করেন। পরে স্বামীর যোগসাজসে আফরোজা আব্বাস ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধ পন্থায় অর্জন করেন। যা ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় শাস্তযোগ্য অপরাধ।
Leave a Reply