বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে একাউন্ট করতে গিয়ে কৃষকদের হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে।
২১ আগষ্ট বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, সরকারের কাছে উচ্চ মূল্যে ধান বিক্রি করতে জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য গোদামে কৃষকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। কৃষকদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৯ আগষ্ট পর্যন্ত সরকারের কাছে ধান বিক্রির শেষ সময়। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে। যে কারণে শেষ সময়ে এসে ধান বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।
এ সময় সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকদের মধ্যে এনামুল হক, মিছবাউল হক, সফর আলী, নুরুল হক, অজুদ মিয়া, নগেন্দ্র বিশ্বাস সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করে বিপদে পড়েছি। ব্যাংকে একাউন্ট করতে গিয়ে পদে পদে হয়রানী করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রতি সরকারের সু-দৃষ্টি থাকলেও ব্যাংকের অসহযোগিতার কারণে আমরা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। এবার কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় একাউন্ট করতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংককে নির্ধারিত করেছে সরকার। প্রথম দিকে ব্যাংক গুলো সহযোগিতা করলেও শেষ সময়ে এসে অসহযোগিতা করছে। ব্যাংকে ১০ টাকার একাউন্ট করতে গেলে কর্র্তৃপক্ষ বলেন এখন হবে না। পরে এসো। তবে ৫০০ টাকার একাউন্ট করতে তারা আমাদেরকে উৎসাহী করেন। ব্যাংক গুলোর এমন আচরণে আমাদেরকে বারবার হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংক জগন্নাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষকদের একাউন্ট করা হচ্ছে এবং আমাদের ব্যাংকে করা একাউন্ট দিয়ে কৃষকরা সব থেকে বেশি টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া সরকারি বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা সহ ৬/৭টি খাতে আমাদেরকে অতিরিক্ত সময় দিতে হয়। এর মধ্যে লোকবল সংকট তো আছেই। যে কারণে অনেক সময় একটু বিলম্ব হতে পারে। এদিকে-যোগাযোগ করা হলে কৃষি ব্যাংক জগন্নাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক এএফএম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি এখন সেমিনারে আছি পরে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফজুল আলম মাসুম বলেন, এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি একাউন্ট করা হবে। #
Leave a Reply