শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সড়ক ভাঙনের গর্তে আবারো গাড়ি ধেবে আটকে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটের কারণে জন ভোগান্তি বেড়েছে। জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের হামজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থাকা গর্তে বারবার গাড়ি ধেবে যাওয়ার ঘটনায় এমন অনাকাঙ্খিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী-জনতা। এ গর্তটি বড় হয়ে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক জুড়েই গর্ত হওয়ায় যানবাহন আসলেই ধেবে যাচ্ছে। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় জেনে বুঝেই চালকরা মরণ ফাদে আটকা পড়ছেন। ছোট গাড়িগুলো কোন রকমে যাতায়াত করলেও মালবাহী বড় গাড়িগুলো এখানে এসেই ধেবে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এসব যানজটে আটকা পড়ে প্রতিনিয়ত অনাকাঙ্খিত ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার আবারো এ গর্তে ট্রাক ও মিনিবাস গাড়ি ধেবে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী-জনতা।
এদিকে-সড়কের এ গর্তে অসংখ্য বার সাময়িক মেরামত কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। তাতেও কাজ হচ্ছে না। বারবার ভেঙে সড়কের এ স্থানটি গর্ত হয়ে যাচ্ছে। তারা কাজ করতে করতে দিশেহারা ও গাড়ি ধেবে যাওয়া নিয়ে চালকরা আতঙ্কিত এবং যানজটে আটকা পড়ে জনতার ভোগান্তি। কবে এই বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন মানুষ। তা কেউ জানেন না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে বা গণমাধ্যমে দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরলে তাৎক্ষনিক গর্তের ভাঙনে ইটের সুরকি ও বালু ফেলে সাময়িক (স্থানীয় ভাষায় ডিপাতালির) কাজ হয়। কয়েক দিন পর আবারো ভেঙে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। এভাবেই গত কয়েক মাস ধরে কোন রকমে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। এর মধ্যে একবার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ সময় ভূক্তভোগী জনতা সড়ক মেরামতের দাবিতে অনেক আন্দোলন করেছেন। আন্দোলনের মুখে সাময়িক কাজ হলেও আবারো ভেঙে যায়। তাই স্থায়ী ভাবে কাজ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান ভূক্তভোগী জনতা। তা না হলে আবারো যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Leave a Reply