মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি সরকার গঠন করলে  প্রথম পর্যায়ে ৫০ লক্ষ পরিবার কে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে— কয়ছর এম আহমেদ হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান হারুন-বিপ্লবের সাত পদক বাতিল “রক্তের আখরে লেখা জুলাই বিজয় “ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও শহীদদের স্মরণে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল জগন্নাথপুরে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

করোনা ধাক্কায় ৩১ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে পুঁজিবাজার

করোনা ধাক্কায় ৩১ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে পুঁজিবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্ট :: করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি মার্চ মাসে দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে রেকর্ড দরপতন হয়েছে। এর ফলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে ৩০ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। আর সূচক হারিয়েছে ৩৭২ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১লা মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত ১৮ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এই সময়ে বড় ধরনের দরপতনের কারণে ডিএসই বাজার মূলধন ও সূচক পতনে রেকর্ড গড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধব নেমেছে।
যার নেতিবাচক প্রভার পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও। তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পতনের মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছে। পুঁজি হারিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নিঃস্ব থেকে আরো নিঃস্ব হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ আতঙ্কিত হয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রি না করা।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সনাক্ত হওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। করোনা আতঙ্কে সর্বশেষ ৯ই মার্চ থেকে ১৮ই মার্চ মাত্র ৭ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে ৪৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকা বাজার মূলধন হ্রাস হয়। একই সময়ে ডিএসই সূচক কমে ৬৮৩ পয়েন্ট।

এই অবস্থায় গত ১৯শে মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কিছু কারিগরি নির্দেশনা দিয়ে পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক পতনের পথ বন্ধ করে দেয়। বিএসইসির কারিগরি নির্দেশনা অনুযায়ী, আগের পাঁচদিনের সূচক ও বিভিন্ন শেয়ারের পতনের মোট পরিমাণকে ৫ দিয়ে ভাগ করে গড় হয়। ওই গড়ের নিচে শেয়ারের দাম আর কমতে পারবে না। এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে করে গত ১৯শে মার্চ ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৭১ পয়েন্ট বেড়ে যায। ফলে মাস শেষে ডিএসইর পতনের মাত্রাটা কিছু কমে আছে।

এদিকে ১লা মার্চ ডিএসইর বাজার মুলধন ছিল ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে মার্চের শেষ লেনদেন দিবস গত ২৫শে মার্চ ডিএসইর বাজার মূলধন নেমে আসে ৩ লাখ ১২ হাজার ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মাত্র ১৮ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩০ হাজার ৭৪৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। একই সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ইনিডেক্স কমেছে ৩৭২ পয়েন্ট।
আপনার মতামত দিন

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com