বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও নির্ধারিত তারিখে দোকানঘর  নিলাম হয়নি!   সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু তে প্রবাসী  সাংবাদিক তৌফিক আলী মিনার এর শোক জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই: প্রেসক্লাবের শোক এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি জগন্নাথপুরে সার-বীজ বিতরন কালে সাবেক মন্ত্রী, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে

ধর্মীয় কাজেও মাইক ব্যবহারে সংযম খুবই জরুরি

ধর্মীয় কাজেও মাইক ব্যবহারে সংযম খুবই জরুরি

উবায়দুর রহমান খান নদভী ::

শান্তির নবী, রহমতের নবী নামাজ পড়াচ্ছিলেন। শুনলেন, মসজিদ সংলগ্ন কোনো বাড়িতে ছোট্টশিশুর কান্না। তিনি নামাজ সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন।

বললেন, আমার ধারণা হলো- এই শিশুটির মা হয়তো আমাদের জামাতে শরীক হয়েছে। (নামাজ দীর্ঘ হলে শিশুর কান্নাও থামবে না আর তার মা নামাজে মন বসাতে পারবে না) এই ছিল আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজির মানবিক অনুভূতি।

আল্লাহর ইবাদত মানুষকে অস্বীকার করে নয়। আধ্যাত্মিক সাধনা নারী শিশু সমাজ ও প্রতিবেশকে না দেখে নয়। এক গ্রাম্য ব্যক্তি মদিনা শরীফে এসে মসজিদে নববীর এরিয়ায় পেশাব করতে বসে পড়লো। উপস্থিত সাহাবিরা সশব্দে তাকে নিবৃত করতে ছুটলেন। নবীজি (সা.) তাদের থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘লোকটি যখন না বুঝে বসেই পড়েছে তখন তাকে শান্তিতে তার কাজটি সারতে দাও। পরে বুঝিয়ে বলো যেন সে ভবিষ্যতে আর এমন না করে।’

নবী করিম (সা.) লোকটিকে বিব্রত করা কষ্ট দেওয়া বা লজ্জায় ফেলে দেওয়া পছন্দ করেননি। এই ছিল মহানবী (সা.)-এর আখলাক ও আচরণ। হাজার ঘটনা এমন আছে।

ইসলামে এমন বিধান রয়েছে, নামাজের জামাতে ইমাম সাহেব সবচেয়ে বয়স্ক ও দুর্বল ব্যক্তিটির প্রতি লক্ষ্য করে নামাজ আদায় করবেন। ইসলামে জোরে মাইক লাগিয়ে কোরআন শরিফ শবিনা পড়া আলেমরা সমর্থন করেন না। কারণ, কোরআন পড়ার সময় নীরবে মন লাগিয়ে তা শোনা শ্রোতাদের ওপর ওয়াজিব। নির্দিষ্ট জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে সমবেত মুসলমান ছাড়া দুনিয়ার নানা কাজে ব্যস্ত মুসলিমদের পক্ষে তা সম্ভব হয় না। তাছাড়া সারারাত উচ্চশব্দে কোরআন পাঠ করলে তা কোনো রুগী, পরীক্ষার্থী, গবেষক, বৈধ যৌনসম্পর্কে লিপ্ত, বিষণ্ণ, নিদ্রামগ্ন, বৃদ্ধ, শিশু বা পাপকার্যে লিপ্ত মানুষের জন্য ‘বিরক্তি বা বিব্রতকর’ হওয়া অসম্ভব নয়। ফলে তারা কেউ যদি কোরআনের বিরুদ্ধে কোনো অসতর্ক উক্তি করে বসে তাহলে তাদের যেমন গোনাহ হবে, ক্ষেত্রবিশেষ ইমানও নষ্ট হতে পারে। এমনিভাবে শরীয়ত বিরোধী এমন উপস্থাপনার জন্য এর উদ্যোক্তারাও গোনাহের ভাগি হবেন।

স্বয়ং কোরআনের ক্ষেত্রেই যদি শব্দ নিয়ন্ত্রণের মাসআলা থাকে তাহলে ওয়াজ ও জিকিরের জন্য থাকবে না কেন? পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘মনে মনে তুমি আল্লাহর জিকির করো, গোপনে ও ভীতকম্পিত হয়ে,

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com