শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
গ্রেনেড হামলার ঘটনার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী শিরিন রহিম।
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় আব্দুর রহিমের ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পর আদালত চত্বরের বাইরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি করেন।
শিরিন রহিম বলেন, ‘ঘটনার সময় উনি (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম) অসুস্থ ছিলেন, ওনার ফেস্টুলা অপারেশন হয়েছিল। উনি সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। এর রিপোর্ট পর্যন্ত আছে। তার ফিস্টুলা অপারেশনে ইনফেকশনও হয়েছিল। জেনারেল জাফরুল্লাহ তার অপারেশন করেছিলেন। ১৫ দিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। গ্রেনেড হামলার পর সিএমএইচে আনাগোনা শুরু হয়। পরে শুনলাম তাকে এ মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চলছিল।
এনএসআইয়ের সাবেক এই ডিজি গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন এ অভিযোগটা করা হয় তত দিনে তিনি তো অবসরে ছিলেন। তার জায়গায় দায়িত্বে রেজ্জাকুল হায়দার চলে এসেছেন। যে কারণে তার দ্বারা এটা সম্ভব ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনে আমি হয়তো অনেক ভুলত্রুটি করতে পারি। কিন্তু এ একটা মানুষ জীবনে কোনো অন্যায় করেননি, মিথ্যা কথা বলেনি, অন্যায়ের পথে চলেননি। তার জীবনে কোনো হারাম কারবার নেই। স্ত্রী হিসেবে আমি ৪০ বছর তাকে দেখে এসেছি। এমন কোনো মানুষ নেই যে, ওনার জন্য দোয়া করে না।’
শিরিন রহিম দাবি করে বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে জড়িত থাকার কোনো এভিডেন্স নেই, কোনো সাক্ষী নেই। ওনার অধীনস্থ ফিল্ড অফিসারদের ডেকে (সাক্ষী) জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- তারা কিছু বলেনি। তার মুখের দিকে তাকিয়ে নিচু হয়েছিল। কারণ সবাই তাকে জানতেন তিনি কেমন মানুষ। তার দ্বারা এমন অপকর্ম আসলে সম্ভব না। পরে তার ড্রাইভারকে ডাকা হয়। তবে ড্রাইভার আসেনি, সেও কিছু জানে না। স্যার অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছিল।’
তাহলে এই রায় তার বিরুদ্ধে গেল কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার দোষ একটাই তিনি বিএনপির আমলে এনএসআইর ডিজি ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যত দিন বেঁচে আছি তত দিন তার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। তার বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’
Leave a Reply