মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: -একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে হ্যাট্রিক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় মানুষ এখন স্বপ্ন দেখছেন তাদের সাংসদ কে ঘিরে। নতুন মন্ত্রী সভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে স্হান পাওয়ার অপেক্ষায় তারা প্রহর গুনছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি গনমাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর তালিকায় তার নাম আলোচিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ -৩ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্র মতে এই আসনের সবকটি কেন্দ্রের ফলাফলে এম এ মান্নান নৌকা প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ১২৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জোটের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা শাহীনুর পাশা চৌধুরী পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৫২টি। নির্বাচনে ১ লাখ ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে এম এ মান্নান বিজয়ী হন। এত বিশাল ভোটের ব্যবধানের কারন হিসেবে ভোটাররা মনে করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থী এম এ মান্নান একজন সৎ সজ্জন রাজনীতিবীদ।গত ১০ বছরে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কারনে মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী রোহিঙ্গা ইস্যুতে টাকা আত্মসাৎ ও আবাসন ব্যবসার প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়লে ভোটের মাঠে নীতিবাচক প্রভাব পড়ে। নির্বাচনের দিন বৃটেনের জনপ্রিয় ইংরেজি পত্রিকা বাংলা মিরর সম্পাদক আবদুল করিম গনির ও জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দিনভর এই আসনের বেশিরভাগ কেন্দ্র ঘুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের চিত্র দেখে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভোটারেরা এখানে অনেকটা উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছেন। এম এ মান্নান অবশ্য নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই তাঁর কর্মী-সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নিদের্শনা দিয়েছিলেন। এই আসনে ভোটের আগে-পরে তাঁর নির্দেশনাই মেনে চলেছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাই এই আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এম এ মান্নান ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে শাহীনুর পাশা চৌধুরী কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো সাংসদ হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার সাংসদ হন। এরপর থেকে তিনি সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় তিনি সৎ সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।
জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রিপন বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি হিসেবে এম এ মান্নান গত ১০ বছর ধরে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই আমরা এবার আশাবাদী তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে স্হান পাবেন। লন্ডনের বাংলা মিরর পত্রিকার সম্পাদক জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান আবদুল করিম গনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেশে এসেছিলাম সুনামগঞ্জ -৩ আসনে সারাদিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি শান্তিপূর্ণভাবে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট হয়েছ।তিনি বলেন,একজন ভাল মানুষ হিসেবে জনগন এম এ মান্নান কে আবারো নির্বাচিত করেছে। আমাদের প্রত্যাশা তিনি প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হবেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন,একজন সৎ যোগ্য দক্ষ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি এম এ মান্নান সফলভাবে গত ৫ বছর অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি অর্থমন্ত্রী কিংবা পরিকল্পনা মন্ত্রী হবেন বলে আমাদের আশাবাদ। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত মানুষ হিসেবে তিনি সততা ও দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আমরা শতভাগ আশাবাদী তিনি মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন।
Leave a Reply