মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ব্যবহৃত বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ঘটনাস্থলেই সাব্বির মিয়া নামে এক শিশু নিহত হয়।
ঘটনার ১৯দিন পর জগন্নাথপুর থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী একটি পরিত্যক্ত টং দোকানের নিচ থেকে বন্দুকটি উদ্ধার করে।
পুলিশ, ও এলাকাবাসি জানান, জগন্নাথপুরের আলমপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মজনু মিয়া (আবু তাহের) ও তার ভাই খালেদ মিয়ার মধ্যে স্থানীয় কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণপাড় এলাকায় বাসষ্ট্যান্ডের মালিকানার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মজনু মিয়ার ছেলে নোমান আহমদ। এই বিরোধের নিস্পতির লক্ষ্যে গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বাসস্ট্যান্ডে বৈঠক বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ম্যানেজারের পদ থেকে নোমান আহমদকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এসিদ্ধান্তের বিষয়টি জানাতে ষ্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা ইজাজুল ইসলাম, মমরাজ মিয়া গংরা মজনু মিয়ার বাড়িতে যান। এসময় মজনু মিয়ার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপযার্য়ে সংঘর্ষে জড়িত পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে হট্রগোল শুনে ঘটনাস্থলের দিকে ছুঁটে আসা শিশু সাব্বির মিয়া (১০) মজনু মিয়ার পক্ষের লোকজনের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারায়। নিহত শিশু নবীগঞ্জের কামারগাও নগরকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। সে আলমপুরের নোয়াগাঁও ফুরক্বানিয়া হাফিজিয়ার মাদ্রাসার ৩য় শ্রেনীর ছাত্র। শিশু সাব্বির তার মামা ইজাজুল ইসলামের বাড়িতে থাকে পড়াশুনা করত। সংঘর্ষে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার ৪ দিন পর (২১ অক্টোবর) নিহত শিশুর মা ছুফিয়া আক্তার বাদি হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মজনু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন আসামী ধরা পড়েনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে পরিত্যক্ত অবস্থায় সংঘর্ষে ব্যবহৃত বন্দুকটি উদ্ধার করেছি। এই বন্দুকটি আবু তাহের মজনু মিয়ার নামে লাইসেন্স রয়েছে। সংঘর্ষে নিহত শিশুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply