বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যতো দিন যাচ্ছে ততোই যেন শীত ও কুয়াশার মাত্রা বেড়েই চলেছে। মানুষ শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার অন্ধকারে ডাকা ছিল আকাশ। যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের প্রভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে আবারো কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে ডাকা পড়ে আকাশ। এতে বেড়ে চলেছে শীতার্ত মানুষের কাপুনি।
সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা পাকা ঘরে বসে দামি গরম কাপড় গায়ে পরিধান করে নিজেকে রক্ষা করলেও দিন মজুর অসহায় মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের নেই পাকা ঘর। নেই দামি গরম কাপড়। জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যেতে হচ্ছে। কৃষক- শ্রমিকদের যেতে হচ্ছে জমিতে। ঠান্ডা পানি ও কাঁদা মাটি মারিয়ে করতে হচ্ছে জমি হাল-চাষ। রাখাল শ্রমিকরা ভোরে গরু নিয়ে যেতে হচ্ছে মাঠে। জেলেরা জাল দিয়ে পানিতে নেমে সাঁতার কেটে ধরতে হচ্ছে মাছ। মাটি কাটা শ্রমিকরা কাটছেন মাটি। এসব মানুষের হাড় খাটুনি গ্রাম বাংলার প্রতি দিনের চিত্র। যা থেকে বাজারে আসছে মাছ। জমিতে উৎপাদন হচ্ছে সোনার ফসল।
এছাড়া অসহায় পরিবারের মানুষেরা প্রতিদিন একটি গরম কাপড়ের আশায় মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন। কোথাও শীতবস্ত্র বিতরণের খবর পেলেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন একটি গরম কাপড় পাওয়ার আশায়। অবশেষে কাপড় পেলে মুখে ফুটে হাসি। আবার অনেকে না পেয়ে শুন্য হাতে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে।
সেই সাথে শীতের কারণে হাট-বাজারে জন সমাগম কমে গেছে। ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা হয়ে গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে শীত থেকে শিশুদের বাঁচাতে মানুষ সব ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছেন ও সতর্ক রয়েছেন। তবুও বেড়ে চলেছে শীত জনিত রোগ-বালাই। সব মিলিয়ে গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত শীত ও ঘন কুয়াশায় জন-জীবন রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে শীতে কাবু নারী-পুরুষ জানিয়েছেন।
তাই বিত্তশালী ধর্নাঢ্য ব্যক্তিবর্গের শীতার্ত গরীব অসহায় মানুষগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আশা উচিত।
Leave a Reply