শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি জগন্নাথপুরে সার-বীজ বিতরন কালে সাবেক মন্ত্রী, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে দারুল ক্বিরাত হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদরাসা শাখা কেন্দ্রের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  জগন্নাথপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

করোনা থেকে সুস্থ হলেই অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় না- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনা থেকে সুস্থ হলেই অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় না- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক :: করোনা আক্রান্ত হওয়া মানুষ সুস্থ হওয়ার পর তার রক্ত দিয়েই এই ভাইরাসের চিকিৎসা করার কথা ভাবছিলেন কিছুদিন ধরে গবেষক, চিকিৎসকরা। তাছাড়া বলা হচ্ছিল, একবার কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলেছে, চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলেই রোগীর শরীরে করোনার এন্টিবডি বা করোনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা সৃষ্টি হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
এতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার দু’জন বয়স্ক ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। তাদের চিকিৎসায় সেখানকার চিকিৎসকরা এই একই অসুখ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করেন।
চিকিৎসকদের দাবি, এর ফলে ওই দুই বয়স্ক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সেরে উঠেছেন। সম্প্রতি চীনের ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ’-এ ৩৬ থেকে ৭৩ বছর বয়সী পাঁচজন রোগীর ওপর এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। এখানকার গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার পর ১২ দিনের মধ্যেই সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গবেষকরা বলেছিলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার অর্থ হল, তার শরীরে কোভিড-১৯-এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এই কোভিড-১৯-এর অ্যান্টিবডি যুক্ত রক্তের প্লাজমার সাহায্যে নতুন করোনা আক্রান্তকে সারিয়ে তোলার উপায় ও একাধিক যুক্তি জোরালো হয়েছে বিভিন্ন দেশের গবেষকদের মধ্যে। দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের গবেষকদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসাও শুরু করে আমেরিকাও। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, চিকিৎসায় সেরে ওঠা মানেই শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে, এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনও মেলেনি। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তি একবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি দ্বিতীয়বার আর আক্রান্ত হবেন না, তা একেবারেই নয়। বরং উল্টোটাই হয়েছে। আর্জেন্টিনা, ইতালি এমনকি মহারাষ্ট্রেও একই ব্যক্তির দু’বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তাই ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হবেই, এমনটা বলা যাচ্ছে না। তাই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সতর্ক করে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিতে করোনা চিকিৎসা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। বৃটেন সরকার এখনও পর্যন্ত রক্তের প্লাজমা নিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ সেরোলজি পরীক্ষা করিয়েছে। কিন্তু তার রিপোর্ট এখনও সামনে আসেনি। সুইস ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা রস জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ওপরে এই অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো হয়েছে, এর ফলাফল পাওয়া যাবে মে মাসের শুরুতে। তাই এখনই এই পদ্ধতি বা তত্ত্বের উপর নির্ভর করা ঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com