স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এক গৃহবধূ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। । ১৩ দিন আগে জন্ম নেওয়া তার জমজ দুই ছেলে মায়ের দুধের জন্য কাঁদছে। তাদের কান্না যেন থামছে না। পাড়া প্রতিবেশীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়,উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক সুফি মিয়া ও গৃহিনী সৈয়দা রিনা বেগম দম্পতির ঘরে গত ১৫ ই আগষ্ট সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে দুই ফুটফুটে জমজ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
একসঙ্গে দুই পুত্রন্তানের জন্মে পরিবারে বাধ ভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এরইমধ্যে রীনা বেগমের করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। গত ২৪ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষায় সৈয়দা রিনা বেগমের করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। প্রথমে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হলেও শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার রাতে থাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তাঁর স্বামী সুফি মিয়া বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন তাঁর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হতে পারে। এজন্য অনেক টাকার প্রয়োজন । আমি গরিব মানুষ কীভাবে এত টাকা জোগাড় করবো বুঝতে পারছি না। এক দিকে স্ত্রীর চিকিৎসা খরছ অন্যদিকে দুধের জন্য বাচ্চাদের আর্তনাদ খুবই চিন্তায় আছি। স্ত্রী ও দুই জমজ সন্তান কে বাঁচাতে সমাজের বিক্তশালী ও সরকারের নিকট সহায়তা কামনা করেন তিনি।
রীনা বেগমের বোন সৈয়দা শাবানা বেগম বলেন,আমরা তার ফুটফুটে দুই জমজ সন্তান নিয়ে বিপদে রয়েছি। মায়ের দুধের জন্য শিশুরা শুধু কাঁদছে। কীভাবে তাদের সামলাবো বুঝতে পারছি না। আমাদের খালা সৈয়দ শাহেনা বেগম ও শামীনা বেগম শিশু দুটোর যত্ন করছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার সায়েখুল ইসলাম বলেন, করোনা আক্রান্ত মা সৈয়দা রীনা বেগম কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে সিলেট প্রেরণ করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মধু সূধন ধর শুক্রবার যুগান্তর কে জানান, মা মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ই আগষ্ট সুফি মিয়া ও সৈয়দা রীনা বেগমের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
Leave a Reply