বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগে ব্যবহৃত সাধারণ একটি ডিভাইস-ই নয়। এটি প্রাত্যহিক জীবনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। তাই স্মার্টফোন পছন্দের বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের কাজের ধরনের ওপর। সবমিলিয়ে কাঙ্ক্ষিত স্মার্টফোনটি হাতে পাওয়া কিন্তু মোটেই সহজ কথা নয়। সব স্মার্টফোনেরই কোনো না কোনো বিশেষত্ব থাকে। তবে সেরা ডিভাইসটি নির্ধারিত হয় এটির কনফিগারেশন, ব্যাটারি লাইফ, ডিসপ্লে, প্রসেসর সবকিছুর ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে।
ব্যাটারি লাইফ ‘পাওয়ার’ ধারণ করে ও মোবাইলকে চালিত রাখতে সাহায্য করে। প্রযুক্তি যত এগিয়েছে স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ ফিচার এর গুরুত্ব গ্রাহকদের কাছে ততই বেড়েছে।
ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ বেশ ভালো না হলে ভিডিও দেখা, গেমিং কিংবা ভ্রমণের মতো বিষয় ব্যবহারকারীদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি সক্ষমতার ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকরা ভাবনা ছাড়াই কক্সবাজার অথবা বান্দরবান এর মতো দূরবর্তী ভ্রমণ স্পটে ঘুরতে যেতে পারেন, কারণ তাদের মোবাইলে চার্জ দেওয়া নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া, যেসব তরুণরা কাজের শেষে বৃহস্পতিবার রাতভর গেমিং এ মুখর থাকতে চান তাদের জন্যও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফের বিকল্প নেই।
বাজারের বেশিরভাগই স্মার্টফোন ডিভাইসে রয়েছে ৫০০০এমএএইচ ব্যাটারি। তবে এখন গ্রাহকের চাহিদা রয়েছে ৬০০০এমএএইচ ব্যাটারি সংযুক্ত স্মার্টফোনের প্রতি। ব্যাটারির পরই গুরুত্ব পায় মোবাইলের ডিসপ্লে ফিচারটি। ফোনের স্ক্রিনে যতটা বড় দেখতে ভালো লাগে, ততটা বড় করে ডিভাইসে ডিসপ্লে ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু এ বিষয়টি বেশ জটিল। কারণ ব্যবহারকারীরা যেন তাদের চোখের পীড়ায় না ভুগেই ডিভাইসে মাল্টি-টাস্কিং করতে পারেন সে বিষয়টিও এখানে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
অভিজাত প্রতিষ্ঠানের পেশাদাররা মোবাইল ডিভাইসের মধ্যেই তাদের ‘টেক্সট মেসেজিং’, ‘ই-মেইল কনভারসেশন’, ‘অনলাইন মিটিং এর বিষয়াদি’ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাইল সমূহ জমা করে রাখেন। সবকিছু মিলিয়ে মাল্টি-টাস্কিং এর জন্য ৬.৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে ব্যবহারকারীদের জন্য অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের বলে ভাবা হয়। তবে অধিকাংশ স্মার্টফোনের ডিসপ্লে হচ্ছে ৬.৫ ইঞ্চির! এরপর আসা যাক প্রসেসরের কথায়। চিপসেট হিসেবে পরিচিত এই প্রসেসরকে বলা হয়ে থাকে স্মার্টফোনের হৃদযন্ত্র।
তাছাড়া, মোবাইলের ‘ক্লক স্পিড’ বলতে বুঝায় স্বাভাবিকভাবে এটি কত দ্রুত অপারেট করতে পারে। অপরদিকে একসাথে কতটি এপ্লিকেশনের কাজ কোনো বিঘ্ন ছাড়াই করা যায়, সেটির হিসাব রাখে ‘কোর কাউন্ট’। এছাড়া, স্মার্টফোনের কার্যকর সিপিইউ গ্রাহকদের অসাধারণ ভিজুয়াল ও গেমিং অভিজ্ঞতা দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘসময় গেমিংয়ের জন্য ডিভাইসের যথার্থ কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করে। এতসব ফিচার মাথায় রেখে পছন্দের স্মার্টফোনটি কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকের আগ্রহে ভাটা পড়ে উচ্চমূল্যের কারণে।
তবে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স ব্যবহারকারী ও তরুণদের চাহিদা বিবেচনা করে সেরা ফিচারগুলোর সমন্বয়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ধারাবাহিকভাবে স্মার্টফোন ডিভাইস তৈরি করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইনফিনিক্স বিশ্বজুড়ে সম্প্রতি হট ১১ প্লে উন্মুক্ত করেছে। সর্বশেষ এই মডেলটি ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে’র উন্নত সংস্করণ। ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই ইনফিনিক্স তার হট সিরিজের সর্বশেষ স্মার্টফোন ‘হট ১১ প্লে’ বাংলাদেশের বাজারে উন্মুক্ত করবে। ধারণা করা হচ্ছে হট ১১ প্লে’তে থাকতে পারে পাওয়ার ম্যারাথন টেকনোলজি সম্বলিত দীর্ঘস্থায়ী ৬ হাজার এমএইচ ব্যাটারি, উচ্চ-রেজ্যুলেশন, হেলিও জি৩৫ অক্টা-কোর সিপিইউর নির্বিঘ্ন পারফরম্যান্স।
ডিভাইসটিতে আরো থাকতে পারে, ৬.৮২ ইঞ্চির প্রিমিয়াম সিনেম্যাটিক ডিসপ্লে। গ্রাহকরা ৪জিবি+৬৪জিবি ও ৪জিবি+১২৮জিবি র্যাম ও রোম এর ভ্যারিয়েন্টে ডিভাইসটি পেতে পারবেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। নতুন ইনফিনিক্স হট ১১ প্লে এটির আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বৈচিত্র্যময় ফিচারের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে গ্রাহকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হবে।
Leave a Reply