নিজস্বপ্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর বাজারের ইকড়ছই (ডহরের পাড়) নামক জায়গায় বিরোধকৃত ভূমির ওপর থাকা ৫৫টি টিনশেড দোকানঘর আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর নিলাম দিয়ে ভাড়ার আয়-ব্যায়ের হিসাব বিজ্ঞ আদালতে জমা দিতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ কে নির্দেশ দেওয়ার প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই দোকান গুলোর ব্যবসায়ী দের জগন্নাথপুর থানায় দোকান ভাড়া দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ী দের নির্দেশ দিলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনে ৩৫টি দোবানের ভাড়া ব্যবসায়ীগন জগন্নাথপুর থানা পুলিশের হাতে প্রদান করেন।৩৫টি দোকানের প্রতি মাসের ভাড়া ৩৫জন ব্যবসায়ী রসিদের মাধ্যমে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার সাবইন্সপেক্টর সাব্বির আহসানের নিকট বুঝিয়ে দেন। ২০টি দোকান তালাবদ্ধ থাকায় পরবর্তী তে আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এস আই সাব্বির আহসান জানান, সুনামগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নির্দেশ মোকাবেক আমি বিরোধ কৃত দোকানের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী গনকে আদালতের নির্দেশনার কথা বলেছি। তারা আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রসিদের মাধ্যমে ভাড়া প্রদান করেছেন। এখন থেকে রসিদের মাধ্যমে তারা জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কাছে দোকান ভাড়া প্রদান করবেন এবং আমরা বিজ্ঞ আদালতে উত্তোলন কৃত দোকান ভাড়ার টাকা জমা দিব। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলামের স্ত্রী আছমা খাতুন গং বাদী হয়ে ২০১৩ সালে ছিলিমপুর গ্রামের শফিকুর রহমান গংদের বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ৩ মার্চ উক্ত মামলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায়ে বিরোধীয় ৫৫ টি টিনসেড দোকানঘর জগন্নাথপুর থানার অনুকূলে রিসিভারের আদেশ প্রদান করেন। আদেশে বলা হয় ইকড়ছই মৌজার সাবেক এস এ দাগ নং ৬৮৫ ও আর এস দাগ নং ৯২৯, ৬৪৯, পরিমান ৩.৩৫ একর ভূমিতে ৫৫ টি দোকানঘর নিলাম দিয়ে মাসিক ভাড়া জগন্নাথপুর থানার মাধ্যমে জমা রেখে আদালতকে অবহিত করতে হবে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম যুগান্তর কে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দোকান ভাড়া বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিরোধ কৃত দোকানে অবস্হান রত ব্যবসায়ী দের কে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
৩৫ জন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৩৫টি দোকান ঘরের ভাড়া আদায় করা হয়েছে। বাকি তালাবদ্ধ ২০টি দোকানের ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন থেকে তারা থানায় ভাড়া প্রদান করবেন এবং বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আমরা আদালতে জমা দিব।
Leave a Reply