মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ জগন্নাথপুরে চিনা বাদাম প্রদর্শনী মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত টানা ৩য় বার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন হারুন রশীদ জগন্নাথপুরের লহড়ী গ্রামে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতি: অস্ত্রসহ দুইজন গ্রেফতার জগন্নাথপুরে হারানো লাখ টাকা খুঁজে উদ্ধার করে দিল থানা পুলিশ জগন্নাথপুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন রানীগঞ্জ সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন- ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ জগন্নাথপুরে ধান চাল ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন: লটারির মাধ্যমে মনোনীত ৮১০ ভাগ্যবান কৃষক জগন্নাথপুর পৌরশহরে ৩৫ দোকানঘর  ভাড়া থানায় দিলেন ব্যবসায়ী গন জগন্নাথপুরে চুরি যাওয়া ৩টি টমটম উদ্ধার : গ্রেপ্তার ৪ 

রানীগঞ্জ সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন- ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ

রানীগঞ্জ সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন- ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ

নিজস্বপ্রতিবেদক : নীতিমালা  অনুযায়ী কোনো নদীর উপর নির্মিত সেতু’র এক কিলোমিটারের মধ্যে খনন কাজ না করতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর উপর রানীগঞ্জ সেতুর আশে পাশে কয়েকশ ফুটের মধ্যে ড্রেজারের সাহায্যে বালু ও বালু মিশ্রিত মাটি উত্তোলন করছে মেসার্স একতা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অবাধে বালু উত্তোলন করায় সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় দৈনিকে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আদালতের গোচরীভূত হয়েছে।এই প্রেক্ষিতে আদালত বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতি নিরূপন, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত নৌযান জব্দ, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ সিলেট অঞ্চলকে বিষটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (জগন্নাথপুর) মোহাম্মদ আলমগীর।গত ২ মে স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ‘নীতিমালা অনুযায়ী কোনো নদীর উপর নির্মিত সেতুর ১ কিলোমিটারের মধ্যে খনন কাজ না করতে বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর বিপরীত ঘটছে জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে বালু-মাটি উত্তোলন। সরকারের মেগা প্রকল্প রাণীগঞ্জ সেতুর আশপাশের কয়েকশ ফুটের মধ্যেই ড্রেজারের সাহায্যে বালু ও বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলন করছে মেসার্স একতা এন্টারপ্রাইজ নামের এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। নদী খননের নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিগত কয়েক মাস ধরে দেদারসে বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলন করায় ঝঁুকির মুখে পড়েছে ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাণীগঞ্জ সেতু ও নদী তীরবর্তী গ্রাম।জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের পাশে কৃষি ইনস্টিটিউটের মাটি ভরাটের জন্য কুশিয়ারা নদীর জেগে উঠা চর থেকে বালু উত্তোলনের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে একটি স্মারকে ৫৫ লক্ষ ঘনফুট বালু ও বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলনের অনুমোদন নেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স একতা এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিক মো. আবেদ।অভিযোগ রয়েছে, এই কাগজের উপর ভিত্তি করে কৃষি ইনস্টিটিউটের মাটি দেওয়ার নামে নদীতে গণহারে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে নদীর উভয়তীরের মানুষের ফসলি জমিসহ ১০টি গ্রামের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে রাণীগঞ্জ সেতু।উত্তোলনের এলাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কোথাও ড্রেজার চালানো হচ্ছে না। সেতু আমাদের জেলাবাসীর সম্পদ। সেতুর কোনো ক্ষতি হবে সেটা আমিও চাইবো না। এখন ড্রেজার বন্ধ রয়েছে। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল বশিরুল ইসলাম জানান, অনুমোদনের বাইরে কেউ বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনাক্রমে সার্বিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় কুশিয়ারা নদীর দুই পাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলনের কারণে রাণীগঞ্জ এবং নদীর তীরবর্তী গ্রাম এলাকায় ভাঙনের সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও রানীগঞ্জ সেতুর নদীর তলায় মাটি সরে গিয়ে সেতুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও পানি উন্নয়নের ব্লকগুলো বালি উত্তোলনের ফলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে উক্ত এলাকায় বন্যা এবং পানি লোকালয়ে ঢোকার সম্ভাবনা আছে। তাছাড়াও সংবাদপত্রের মাধ্যমে রাণীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দারা জবাবে বালু—মাটি উত্তোলন করায় গ্রামের বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পরেছেন মর্মে দাবি করছেন। এতে এলাকাবাসি হুমকীতে পড়ছে এবং পরিবেশত চরম বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে মর্মে দাবি করেন। সংরাদ/প্রতিবেদনটি ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেওয়ার ক্ষমতা প্রাপ্ত মাজিস্ট্রেট হিসাবে নিম্ম স্বাক্ষরকারীর নজরে আসে। উক্ত প্রতিবেদনে বর্ণিত ঘটনা পর্যালোচনাক্রমে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ও ৫ ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহের কারণ রয়েছে যা তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু উপযুক্ত অপরাধসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে আর কার কার দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে, তাদের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট নয়। স্বাক্ষীদের নাম ঠিকানা প্রতিবেদনে নাই। সুতরাং অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপন করা প্রয়োজন এবং তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করা প্রয়োজন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামীদের সনাক্তকরণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত, ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট আলামত, পাইপ, বনগেট, ড্রেজার মেশিন, ড্রামট্রাক ইত্যাদি (বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত কাজে যন্ত্রপাতি) তাৎক্ষণিক জব্দ করবেন এবং অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত নৌযান বা নৌযান সমূহ The Inland Shipping Ordinance, 1976 অনুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন, সার্ভে সনদ ও পারমিট আছে কিনা যাচাই করবেন।এছাড়াও সরকারি নদী থেকে কত ঘনফুট বালু তোলা হয়েছে এবং কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপন করবেন। পত্রিকার রিপোর্টারসহ প্রয়োজনীয় পক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন। সার্বিক পর্যালোচনায় পুলিশ সুপার, নৌ—পুলিশ, সিলেট অঞ্চল কে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া গেল। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারন সহ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করায় জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ প্রদান করা হলো। আগামী ২৫/০৬/২০২৪ইং তারিখ প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য দিন ধার্য করা হলো।  সৌজন্যে – সুনামগঞ্জের খবর

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com