সানোয়ার হাসান সুনু: আসলে এখন যেন একটা তুঘলকি কারবার চলছে। আচ্ছা আমার প্রশ্ন হচ্ছে পুজা মন্ডপে যাবে পুজারীরা মুসলমানরা যায় কেন? আমরা ছোট কালে দেখেছি জগন্নাথপুরে হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোক স্বাধীনভাবে আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে তারা তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করেছেন। না ছিল সেনা টহল,না ছিল পুলিশী পাহারা, না ছিল আনসারদের পাহারা, না ছিল কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাহারা। এখন সেনাবাহিনী পুলিশ ও আনসার দের পাহারা দিতে হয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর অতি উৎসাহী কতিপয় নেতা কর্মীরাও পূজা মন্ডপে গিয়ে পাহারা দেওয়ার কথা শুনা যায়। আবার কেউ কেউ পুজামন্ডপের সামনে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করার খবর ও শুনা যায়। আচ্ছা ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে কোন হিন্দু যদি বলে গীতাপাঠ করতে সেটা কি কোন মুসলমান মেনে নিবেন? মানবেন না মানা সম্ভব না। তাহলে আপনারা পুজায় গিয়ে কেন ইসলামী সংগীত গেয়ে পাকনামী দেখান! মুসলমানদের মধ্যে যারা পুজায় যান আপনাদের উপস্থিতি যেন হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকদের জন্য বিরক্তির কারন হয়ে না দাড়াঁয় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আর যারা মন্দির বা পুজামন্ডপ পাহারা দেওয়ার নামে ফটোশেসন করছেন এটা কি আপনারা ঠিক করছেন? সব চেয়ে ভাল হয় প্রতিটি পুজামন্ডপে ও মন্দিরে হিন্দু সম্প্রাদায়ের মধ্যে থেকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের মাধ্যমে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলদেশ। এই সম্প্রীতি সবাইকে ধরে রাখতে হবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply