শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ–৩ আসনের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী তালুকদার মকবুল হোসেন (কাঁঠাল) প্রতীককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ৬ জনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় শুক্রবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৫ তারিখ ২৯/ ১২/ ২০২৩ ইং।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের মইজপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনামগঞ্জ – ৩ (জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জ) আসনের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি মনোনীত কাঠাল মার্কার প্রার্থী তালুকদার মকবুল হোসেন গ্রামের জামে মসজিদ থেকে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বের হলে কতিপয় লোক তাকে আক্রমন করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তালুকদার মকবুল হোসেন (৫২), তাঁর চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেন (২৫) ও মাহিদুর হোসেন (২২) আহত হয়েছেন।
জানাযায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে মইজপুর গ্রামের মাসুক আলী তাঁর ছোট ভাই তাজুল ইসলামকে কাতার পাঠানোর জন্য বিজেপি প্রার্থী তালুকদার মকবুল হোসেনকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। শুক্রবার মইজপুর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তালুকদার মকবুল হোসেনের সঙ্গে মাসুক আলীর পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে মারধোর এর ঘটনা ঘটে। এতে তালুকদার মকবুল হোসেনসহ তাঁর দুই চাচাতো ভাই আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে মকবুল হোসেনের সাখে আলাপ হলে তিনি যুগান্তর কে বলেন, নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে আমি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে মারধর শুরু করে। টাকা পাওনার বিষয়ে তিনি বলেন, টাকা লেনদেনের সময় যদি কেউ সাথে থাকে এর জন্য তো তিনি দায়ী হতে পারেন না।
অভিযুক্ত মাসুক আলী বলেন, ‘উনার কাছে আমার টাকা পাওনা রয়েছে। একাধিক বার তারিখ করে ও তিনি টাকা দেন নি। পাওনা টাকা চাইতে গেলে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারধর কিংবা হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম যুগান্তর কে বলেন, টাকা লেনদেন কে কেন্দ্র করে চাচা- ভাতিজার মধ্যে হাতা- হাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মকবুল হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের
করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply