বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিখোঁজের ১১দিন পর টমটম চালক সাইদুল ইসলামের (১৭) লাশ সিলেট-ঢাকা মহা সড়কের রশিদপুর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা করেছে। দুর্বৃত্তরা কিশোর সাইদুল ইসলাম কে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং রশিদপুর বাজার সংলগ্ন পূর্ব পাশের্^র খালের মধ্যে লাশ ফেলে যায় এবং তার টমটম (ইজিবাইক) গাড়িটি নিয়ে যায়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রামনবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার তাতঁকেরা গ্রামের গোপাল দেবনাথের পুত্র কাজল দেবনাথকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে সে আন্ত জেলা গাড়ি চোর চক্রের সদস্য।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার মধ্য রাতে রশিদপুর থেকে কিশোর চালকের লাশ আমরা উদ্ধার করি। বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছি। হত্যাকান্ড ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আন্তজেলা গাড়ি চোর চক্রের এক দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করেছি এবং ছিনতাই হওয়া টমটম গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যন্যা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের বাউরকাপন এলাকার মৃত শফিক মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম (১৭) গত ১১ আগষ্ট (ঈদের আগের দিন রোববার) সকালে বাড়ি থেকে টমটম গাড়ি নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার পাশবর্তী বিশ্বনাথ উপজেলার বাগিচা বাজারের উদ্যেশ্যে বের হয়। এরপর থেকে তার সন্ধাঁন পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজের বড় ভাই ১১ আগষ্ট জগন্নাথপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন।
নিখোঁজের বড়ভাই রিয়াজুল হক জানান, আমার ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কে প্রতিদিন টমটম গাড়ী চালাতো। গত ১০ আগষ্ট বিশ্বনাথের বাগিচাবাজারের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া তার ভাঙ্গারীর মালামাল ১১ আগষ্ট জগন্নাথপুর পৌরএলাকার ভবেরবাজারে পৌছে দেওয়ার জন্য চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক ১১ আগষ্ট সকালের দিকে গাড়ী নিয়ে বাড়ী থেকে বাগিচার বাজারে যাওয়ার জন্য বের হয়।
Leave a Reply