শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর গ্রামে দুবৃর্ত্তদের হামলায় এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে সৈয়দপুর বাজারের রাদিস প্লাজার নিকটবর্তী এলাকায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ছাত্রলীগ নেতার নাম জুম্মান আহমদ জয় (২৫)। সে সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরি করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ প্রচার সম্পাদক জুম্মান আহমদ জয় সৈয়দপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাদিস প্লাজার পিছনের দিক দিয়ে যাওয়ার সময় অতর্কিতভাবে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে এ হামলা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব কামালীর নির্দেশে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমদ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সার্টিফিকেট আনতে যান আমাদের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ প্রচার সম্পাদক জুম্মান আহমদ জয়। দীর্ঘসময় তাকে বসিয়ে রেখে চেয়ারম্যান তৈয়ব কামালী তাকে বলেন, ‘তুই আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখচ্ছ (লিখেছিস) তো’রে নাগরিক সাটিফিকেট দিবনা, বলে তাকে হয়রানি করেন। এখবর পেয়ে আমিসহ এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করি, কেন তাকে নাগরিক সনদপত্র দেয়া হবে না। ওই সময় ঘটনাস্থলে একজন গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ওই কর্মকর্তা ও পরিষদের অন্য লোকজনের হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যান নাগরিক সনদপত্রে সাক্ষর করে সার্টিফিকেট দেন। তখন বিষয়টি নিস্পত্তি হলেও ওই দিন রাতে ছাত্রলীগ নেতা জুম্মানের ওপর একদল দুর্বৃত্তরা হামলা করে তাকে রক্তাক্ত করেছে। এতে আমরা বুঝতে পারছি, এটি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁর পক্ষের লোকজন হামলা করেছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব কামালীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছেলেটি পরিষদে এসে আমাকে এক মিনিটের মধ্যে নাগরিক সনদপত্র দেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। তার আচারণে আমি বিস্মিত হই। পরে তাকে সনদপত্র দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তিনি জানান, একটি মহল তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এটা ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে তিনি দাবী করেছেন।
জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি।
রাতের অন্ধকারে হামলা করে ছাত্রলীগ নেতাকে আহত করা হয়েছে। এটা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে কারা হামলা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবার এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply