শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অসুস্থ বাবার কথা বলে এক তরুণীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথের একটি বাসায় আটকে রেখে জোরপূর্বক দুইমাস ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পুলিশ ধর্ষণকারী হিসেবে অভিযুক্ত হীরা দাসকে (৩৫) আটক করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগপত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌরএলাকার ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচয় হয় জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁও গ্রামের গুরুপ্রসাদ দাসের ছেলে হীরা দাসের। মেয়েটির মা তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। ওই সময়ই মেয়ের মায়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটে প্রতারক হীরা দাসের। পরিচয়ের সূত্র ধরে হীরা মেয়েটির বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে। গত ১০ মে হীরা দাস মেয়ের বাড়িতে এসে তাকে বলে, তোমার বাবার শরীর বেশি অসুস্থ। এজন্য তোমার মা আমাকে পাঠিয়েছেন তোমাকে আমার সঙ্গে করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ওই সময় মেয়ের মা স্বামীকে নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন। হীরা যখন মেয়েটিকে তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে, তখন মেয়েটি সরল মনে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ছেলেটির সঙ্গে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে বিশ্বনাথের পুরানবাজার এলাকায় একটি বাসায় জরুরি কাজ আছে বলে হীরা মেয়েটিকে কৌশলে সেখানে নিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার একটি বাসায় মেয়েটিকে আটকে রেখে দুইমাস ধর্ষণ করে। গত ১০ জুলাই হীরা একটি অটোরিকশাযোগে মেয়েটিকে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে নিয়ে এসে সেখানে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় মেয়েটি গত রোববার জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সোমবার অভিযুক্ত হীরা দাসকে তার গ্রাম থেকে আটক করে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি জানান, মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষণকারীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply