বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের অনুপ্রেরণায় জগন্নাথপুরে  চক্ষু চিকিৎসা পেলেন সহস্রাধিক রোগি বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের অনুপ্রেরনায় জগন্নাথপুরে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প মঙ্গলবার শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে এমপি প্রার্থী সৈয়দ তামিম আহমদের মতবিনিময়  জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমীক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম সুনামগঞ্জে সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগারের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন শান্তিগঞ্জে জোরপূর্বক জায়গা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন জগন্নাথপুরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়ন  বিএনপির কর্মীসভা; ত্যাগী দের নিয়ে কমিটি গঠনের আহবান দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি ঘোষণা

নৌমন্ত্রীর দুই ভাইয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩৫

নৌমন্ত্রীর দুই ভাইয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩৫

 
জগন্নাথপুর নিউজ ডটকম ডেস্ক :: মাদারীপুরে যুবলীগের কাউন্সিলকে সামনে রেখে নৌমন্ত্রীর দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশের রাবার বুলেট, ছররা গুলি ও দুপক্ষের ছোড়া বোতলের ভাঙা কাচ ও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে ৬ কলেজছাত্রীসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব সরদারের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের মাথিনুর রহমান রূপস খান ও মঞ্জুর আলী মিরাজের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর মধ্যে সজীব সরদার মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খানের সমর্থক।

আর রূপস খান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ভাই ওবায়দুর রহমান কালু খানের ছেলে। দুজনই আবার নৌপরিবহনমন্ত্রীর সমর্থক।

সংঘর্ষের পর আহতদের দেখতে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মাদারীপুর সদর হাসপাতালে যান এবং গুরুতর আহতদের নিজের অর্থ দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করার ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মাদারীপুর যুবলীগের কাউন্সিল নিয়ে শোডাউন দেখাতে উত্তেজনা চলছিল। রাত ১০টার দিকে ডিসি ব্রিজ এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা কলেজগেট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়।

এ সময় পুলিশের রাবার বুলেট ছররা গুলিতে নাজিমউদ্দিন কলেজের ৬ ছাত্রীও আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও নিরাময় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ইমরানুর রহমান সনেট জানান, আহতদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কুমার দেব ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫০ রাউন্ডের মত ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়নি। যুবলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে শোডাউন দেখাতে এই সংঘর্ষ। ঘটনার সময় বিদ্যুৎ ছিল না। সংঘর্ষের সময় ককটেল ও কাচের বোতলের কারণে হোস্টেলের ছাত্রীরাসহ সংঘর্ষকারীদের অনেকেই আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এসআই শ্যামল, এএসআই হাসানসহ পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com