শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের বাজরাকোনা গ্রামের মেয়ে ডলি বেগম। পড়াশুনা করেছেন বাজরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেই ডলি এখন কানাডার এমপি। ডলি বেগম কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক পরিষদের স্কারবোরো সাউথ ওয়েষ্ট আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন বাজরাকোনা গ্রামের মানুষ।
ডলির বিজয়ে উচ্ছাসিত হয়ে বাজরাকোনা গামের বই ব্যবসায়ী মুহিবুর রহমান দিপলু বলেন, ‘ডলি আমাদের অহংকার। আমাদের গ্রামের মেয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’ ডলি বেগম মনুমুখ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সুজন মিয়ার নাতনী। সুজন মিয়া জানান, ডলি বেগম কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) মনোনয়নে অন্টারিও প্রাদেশিক পরিষদের স্কারবোরো সাউথ ওয়েষ্ট আসনে গত ৭ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
কানাডার টরেন্টোতে বসবাসকারী সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের শাহীন আহমদ জানান, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রথম এমপি ডলি ১৯৭৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ডলির এই বিজয়কে ’বাংলাদেশি মেয়ের টরেন্টো জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ডলির চাচা মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আব্দুস শহীদ জানান, ১৯৮৯ বাজরাকোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ডলি। বাজরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ১৯৯৯ সালে স্থানীয় মনুমুখ পিটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে ওই বছরের শেষের দিকে ১১ বছর বয়সে বাবা রাজা মিয়ার নাগরিকত্বের সুবাদে বাবা-মা, ভাইয়ের সাথে কানাডায় পাড়ি জমান। ২০১২ সালে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। পরে ২০১৩ সালে দেশে ফিরে এক বছর সিলেটের শাহজালাল ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ অ্যান্ড পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (পিএসএ ) বিষয়ে পড়াশুনা করেন। এরপর কানাডায় ফিরে ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে। বাবা রাজা মিয়া, মা জবা বেগম ও ভাই মহসিন আহমদের সঙ্গে কানাডায় বসবাস করেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারে ডলির স্লোগান ছিল ’আমাকে ভোট দিলে আপনারা আশাহত হবেন না’। জনগণ তার কথায় বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছেন।
স্থানীয় মেম্বার শাহ ইমরান সাজু বলেন, কানাডা প্রবাসী রাজা মিয়ার অপর দুই ভাইয়ের একজন বাজরাকোনা গ্রামে বসবাস করেন। অপর ভাই বাদশা মিয়া যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তাদের পরিবারের সদস্য ডলি আমাদের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন।
ডলির অশীতিপর দাদি আনা বিবি বলেন, ‘আমার নাতনী কানাডার এমপি হইয়া গাও-গেরামের নাম দূর দেশে ফুটাইছে। এর থাকি বড় পাওয়া আর কি হতে পারে!’
সমকাল
Leave a Reply