রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও নির্ধারিত তারিখে দোকানঘর  নিলাম হয়নি!   সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু তে প্রবাসী  সাংবাদিক তৌফিক আলী মিনার এর শোক জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই: প্রেসক্লাবের শোক এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি জগন্নাথপুরে সার-বীজ বিতরন কালে সাবেক মন্ত্রী, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে

চিকিৎসকদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

চিকিৎসকদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়, অপারেশন করা চোখ নষ্ট হয়েছে, কিন্ত অপর চোখটি নষ্ট হয়নি। এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, এই মন্তব্য অপ্রত্যাশিত এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট প্রমাণ করে আমাদের দেশে ডাক্তারদের নৈতিকতার মান কোথায়। এক পর্যায়ে আদালত আরও বলেন, গরীব ও অসহায় মানুষগুলো তাদের হাসপাতালের ওপর আস্থা নিয়েই সেখানে চোখ অপারেশেন করাতে গিয়েছিলেন। কিন্ত অপারেশন প্রক্রিয়া ও ব্যবহৃত ক্যামিকেলসহ আনুষাঙ্গিক ত্রুটি থেকে তাদের রোগীদের চোখ হারাতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা ছিল কি-না, সেটা নির্ণয় করা প্রয়োজন ছিল। প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার চোখ হারানো ২০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের রুলের শুনানিতে এই মন্তব্য করেন। এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে চুয়াডাঙ্গায় হেলথ সেন্টারে চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। যার প্রথমটি গত ১৩ মে এবং দ্বিতীয়টি ১৫ জুলাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথম প্রতিবেদনে চুয়াডাঙ্গায় চোখ হারানোর জন্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাসপাতালের ওষুধ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি থেকে সংক্রামক জীবানু ছড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় প্রতিবেদনে জীবানুর সংক্রামককে চোখ হারানোর জন্য দায়ি করে এ ঘটনাকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ও ‘দুঃঘর্টনাজনিত’ বলা হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ দৈনিক সমকালে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোগীদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হলে ১ এপ্রিল ২০ জনকে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতে মঙ্গলবার ইমপ্যাক্ট মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অন্যদিকে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের ছিলেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com