রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কিশোরী ধর্ষণকারী ২ জনকে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই লোমহর্ষক ধর্ষন ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন দৃতরা ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্যটের সামনে ১৬১ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছে। চার নরপশুর পাশবিক নির্যাতনের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ বুধবার বিকেলে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইকড়ছই গ্রামের মিনিবাস চালক আইনুল হক ও বাসষ্ট্যন্ড ম্যানেজার বাড়ী জগন্নাথপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলার ফেনারগাঁও গ্রামের চেরাগ আলীর মেয়ে (১৪) মা ও বড় বোনের সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বের হয়ে মিনিবাসে উঠে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে নামে। পরে রিকশা উপজেলার কলকলিয়াতে ফুফুর বাড়ীর যাওয়ার উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যায়। সেখানে দীর্ঘক্ষন একটি দোকানের সামনে বসে থাকতে দেখে দোকান মালিক মেয়েটির বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে মেয়েটি রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছে বলে জানায়। পরে দোকান মালিক মেয়েটির মা কে ফোন দিলে তিনি মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এসময় দোকানে থাকা মিনিবাস চালক আইনুল হক মেয়েটিকে বিশ্বনাথের গাড়িতে তুলে দেয়ার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে যায়।
মিনিবাস চালক মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে না দিয়ে বাসষ্ট্যান্ডের ম্যানেজার বুরহান উদ্দিনের জগন্নাথপুর গ্রামের জিতু মিয়ার কলোনীর ভাড়া বাসায় নিয়ে সারা রাত জোরপূর্বক মেয়েটিকে তাদের আরো দুই সহযোগীসহ চারজন মিলে ধর্ষন করেন। পরদিন বুধবার সকালে মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় জগন্নাথপুর থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত দুইজনকে গ্রেফতার করে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ বলেন, ধর্ষিতা কিশোরী মেয়েটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারী রিপোর্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে প্রচেষ্ট চলছে।
Leave a Reply