শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মুখে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটি থেকে তিনজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
সাবেক হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়ার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
শহরের স্থানীয় একটি কমিউিনিটি সেন্টারের সেমিনার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ২৫ অক্টোবর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা কমিটিতে আকবর আলী সভাপতি ও সেলিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। তারা দুজন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দুটি পদে বহাল রয়েছেন।
এতে বলা হয়, এতো দীর্ঘ সময় নেতৃত্বে থাকার পরও সাবেক হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ট ও আস্থাভাজন হিসেবে তারা কমিটিতে ওই পদে বহাল থাকেন। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনো মতামত নেয়া হয়নি। তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় ১০ দিনের ব্যবধানে গত ৫ নভেম্বর তাদের স্বপদে বহাল রেখে আবারও কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলীয় গঠনতন্ত্র ও গণতন্ত্র কোনো কিছুই অনুসরণ করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুটি কমিটিতে ব্যাপকভাবে স্বজনপ্রীতি ও একজন প্রভাবশালী নেতার ঘরের লোকদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এভাবে ঘরের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করায় সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
পদত্যাগে নেতৃত্বদানকারী তিন ইউপি চেয়ারম্যান, আবদুল হাই, আবদুল ওয়াদুদ ও ফুল মিয়া যুগান্তরকে বলেন, দলের ক্রান্তিকালে ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কমিটি দেয়া হয়েছে তাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারা বলেন, বিএনপির নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের গঠিত কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি। অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটিতে পদবঞ্চিত হয়েছে। তারা অবিলম্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে উল্লেখিত দুই কমিটি পূণঃগঠনের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি। পদত্যাগপত্র হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি হাইকমান্ডকে জানানো হবে।
Leave a Reply