বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
সানোয়ার হাসান সুনু :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদন্ধিতা করে মাহমুদ আলম নামের এক প্রার্থী ১টি ভোটও পাননি। তার নিজের ভোটটিও বাক্সে পড়েনি। এ যেন এক অভাবনীয় ঘটনা। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
সোমবার রাতে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণাকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মাহমুদ আলম (মোরগ প্রতীক) কোনো ভোট পাননি বলে ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ওয়ার্ডে ৭জন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে অংশ নেন। ফলাফলে দেখা যায়, আবদুল ওয়াহাব (ভ্যানগাড়ি) ২৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিক উদ্দিন (টিউবওয়েল) ২৩৬ ভোট পান।
৭নং ওয়ার্ড ও মীরপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশার বলেন, প্রার্থী মাহমুদ আলম তাঁর নিজের, তাঁর এজেন্টের ও পরিবারের কারো কোনো ভোট পাননি; এটা অভাবনীয় ঘটনা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাচন হয়েছে আর এ নির্বাচনে এক প্রার্থী কোনো ভোট পাননি, এটা মীরপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে ইতিহাস হয়ে থাকবে।
বুধবার রাতে এব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী মাহমুদ আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, আমার আব্বা গুরুত্বর অসুস্থ হলে উনাকে নিয়ে সিলেটস্থ নয়া সড়ক মাউন্ট এডোরা হসপিটালে চিকিৎসারত ছিলাম। আব্বা লাইফ সার্পোটে ছিলেন এবং গত সোমবার তিনি মারা যান। এজন্য আমি নির্বাচন করতে পারিনি এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের অন্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বলি।
বুধবার রাতে এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে মাহমুদ আলম একজন বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। কিন্তু তিনি কেন ১টি ভোটও পাননি, এটা একটা অভাবনীয় ঘটনা। এনিয়ে আমরা তদন্ত করব।
Leave a Reply