যারা খাবারে ফরমালিন মেশাচ্ছে তারা গণহত্যাকারী। তাদের প্রতিহত করতে না পারলে জাতি পঙ্গু হয়ে যাবে। এ সময় প্রেসিডেন্ট চায়না কমলার উদাহরণ তুলে ধরেন। বলেন- এই কমলা চীন থেকে আসতে কয়দিন লাগে। অথচ এগুলো এখন বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে পাওয়া যায়। সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন- পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রই এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যেকোন অসামর্থই দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিরন্তর গবেষণা। নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারের ওপরই নির্ভর করে দেশের সমৃদ্ধি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের উপরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে- শাবিপ্রবির এবারের সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে স্নাতকে চার হাজার ৬১৭ জন, স্নাতকোত্তরে এক হাজার ১২৭, পিএইচডি দুজন, এমবিবিএস ৮৭৮, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। সিলেটে প্রেসিডেন্টের মাজার জিয়ারত : সিলেটে এসে দুই ওলির মাজার জিয়ারত করেছেন, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। তিনি গতকাল দুপুরে সিলেটে পৌছে প্রথমে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে তিনি হযরত শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) তৃতীয় সমাবর্তনে অংশ নিতে বুধবার সিলেট আসেন প্রেসিডেন্ট। মাজার জিয়ারতকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলার সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান ছাড়াও সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয় পুরো ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছিলো নানা ধরনের ব্যানার- ফেস্টুন।
Leave a Reply