শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তিগঞ্জে সৈয়দ তালহা আলমের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান বিতরণ জগন্নাথপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার  জগন্নাথপুরে পাষন্ড ভাগ্নের ঝাটার আঘাতে মামা নিহত লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন কারাগারে জগন্নাথপুরে  ২ শতাধিক ভাসমান ব্যবসায়ীদের অপসারণ  বিএনপি সরকার গঠন করলে  প্রথম পর্যায়ে ৫০ লক্ষ পরিবার কে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে— কয়ছর এম আহমেদ হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ

পিতামাতার মৃত্যুর ৪ বছর পর শিশুর জন্ম

পিতামাতার মৃত্যুর ৪ বছর পর শিশুর জন্ম

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: পিতামাতা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার ৪ বছর পর সন্তানের জন্ম হয়েছে। এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে চীনে। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, একজন সারোগেট মা ওই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। ২০১৩ সালে ওই দম্পত্তি মারা যান। কিন্তু তার আগেই তারা আইভিএফ প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্তান লাভের আশায় নিজেদের ভ্রুণ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুর পর, তাদেরই চার পিতামাতা ওই ভ্রুণ ব্যবহার করে সন্তান জন্মদানের দাবিতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে নামেন।
সেই লড়াইয়ে তারা জয়ী হন। ফলশ্রুতিতে লাওসের একজন সারোগেট মায়ের মাধ্যমে ডিসেম্বরে ওই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বেইজিং নিউজ নামে একটি সংবাদপত্র তাদের প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেছে, কীভাবে সারোগেসি প্রক্রিয়া শুরুর আগে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যান মৃত দম্পত্তির পিতামাতা।
খবরে বলা হয়, তারা যখন দুর্ঘটনায় পতিত হন, তখন তাদের ভ্রুণ নিরাপদে সংরক্ষিত ছিল নানজিং হাসপাতালে। তরল নাইট্রেজেন ট্যাংকের ভেতর মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা ছিল ওই ভ্রুণ।
আইনি লড়াই শেষে দম্পত্তির চার জন পিতা মাতাকে এই ভ্রুণ ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়। এর আগে এমন কোনো নজির ছিল না যে, কেউ তার সন্তানের রেখে যাওয়া ভ্রুণের অধিকার পাবে।
তাদেরকে ভ্রুণ ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হলেও, বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়নি। নানজিং হাসপাতাল থেকে তারা ওই ভ্রুন তখনই সরাতে পারবেন যখন তারা এই নিশ্চয়তা দেবেন যে, তারা ওই ভ্রুণ অন্য হাসপাতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। কিন্তু আইনি জটিলতার ঝুঁকি থাকায় চীনের কোনো হাসপাতালই এই ভ্রুণ সংরক্ষণে রাজি ছিল না। আবার চীনে সারোগেসি অবৈধ হওয়ায়, সম্ভাব্য একমাত্র বিকল্প ছিল এই ভ্রুণ দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া।
শেষ অবদি চার দাদা-দাদী ও নানা-নানী একটি সারোগেসি এজেন্সির শরণাপন্ন হন। তারা সিদ্ধান্ত নেন লাওসে সংরক্ষিত ভ্রুন নিয়ে যাবেন। সেখানে বাণিজ্যিক সারোগেসি বৈধ। কিন্তু কোনো এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষই ছোট তরল নাইট্রোজেন ভর্তি বোতল বহনে রাজি হল না।
অগত্যা, তারা গাড়িতে করেই ওই বোতল নিয়ে যান লাওসে। লাওসে এই ভ্রুণ স্থাপন করা হয় সারোগেট মায়ের গর্ভে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ওই শিশুর জন্ম নয়।
শিশুর নাম দেওয়া হয় তিয়ানতিয়ান। তবে তার নাগরিকত্ব নিয়ে দেখা দেয় আরেক সমস্যা। কারণ, শিশুর জন্ম চীনে হয়েছে, লাওসে নয়। অথচ, ওই সারোগেট মা স্রেফ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে চীনে এসেছিলেন।
তিয়ানতিয়ানের পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব প্রমাণের কেউই ছিল না। ফলে চার দাদা-দাদী ও নানা-নানীকেই রক্ত দিতে হয় ও ডিএনএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় এটি প্রমাণ করতে যে ওই শিশু নিশ্চিতভাবেই তাদের নাতি এবং তাদের পিতামাতা উভয়েই ছিলেন চীনা। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিয়েনতিয়েন চীনা নাগরিকত্ব লাভ করে

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com