বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক :: চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিতে শুল্ক কর ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে কাস্টম ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ শুল্ক ১০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি বা আবগারি শুল্ক ২৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যান্য ১.৭৫ শতাংশ করসহ মোট ৩৬.৭৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এছাড়া, অন্যান্য ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ করসহ চাল আমদানিতে মোট ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক-কর প্রযোজ্য রয়েছে। ছাড়কৃত শুল্ক-কর বাদ দিলে চাল আমদানিতে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বহাল থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আদেশে সিদ্ধ চাল ও ব্রোকেন রাইসের ক্ষেত্রে আরোপিত আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পরিমাণ এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শর্তানুযায়ী প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির পূর্বে প্রতি চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছ লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে, ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের চালের মজুদ ১৭ লাখ মেট্রিক টন। চলমান বোরো সংগ্রহ অভিযানে ইতিমধ্যে সাড়ে আট লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাল সংগ্রহের সময় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল, কৃষককে ধান চাষে আবারও আগ্রহী করে তোলা এবং স্থানীয় সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করা।
চালের বাজার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিগগিরই এর সুফল দৃশ্যমান হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
Leave a Reply