বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
মহাগ্রন্থ আল কোরআন পৃথিবীর সবচেয়ে বহুল পঠিত ধর্মগ্রন্থ। পবিত্র এই গ্রন্থের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক জড়িয়ে আছে বিশ্বের প্রায় দুই শ কোটি মুসলমানের। কেউ যখন কোরআন অবমাননা করে, তখন সে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। যা ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। কোনো সভ্য মানুষ এমন জঘন্য অপকর্ম মেনে নিতে পারে না। তা ছাড়া পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থই নিজ নিজ অনুসারীদের কাছে অতি মর্যাদা ও সম্মানের বস্তু। তাই ধর্মগ্রন্থ অবমাননা সব ধর্মে নিন্দনীয় কাজ।
পবিত্র কোরআন আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। সুতরাং যারাই কোরআন অবমাননায় অংশ নিয়েছে বা নেবে তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি। ইরশাদ হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৭-৮)
একবার সাহাবি আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) তাঁর ছাত্রদের বলেন, ‘জেনে রাখো, কোরআন (অনুসারীর পক্ষে ও অবমাননাকারীদের বিপক্ষে) এমন সুপারিশকারী, যার সুপারিশ কবুল করা হবে। অতএব, যে কোরআনের অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (ফাজায়েলে কোরআন, ইবনে কাসির : ১৫১ )
আর যারা পবিত্র কোরআনকে সম্মান করবে, আঁকড়ে ধরবে, মহান আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করবেন। বিখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, কোরআন আল্লাহর বাণী। তাই যথাসম্ভব তা শিক্ষা করো এবং তার দ্বারা উপকৃত হও। নিঃসন্দেহে কোরআন হলো আল্লাহর রজ্জু (অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার সুদৃঢ় মাধ্যম), উজ্জ্বল আলো, (অন্তরের) রোগ-ব্যাধি নিরাময়কারী। যে তাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তা তার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে এবং তা আপন অনুসারীদের দেখাবে মুক্তির পথ। এতে কোনো বক্রতা নেই, যা সোজা করার প্রয়োজন আছে। কোরআনের রহস্য কখনো শেষ হবে না। আর তা কখনো পুরনোও হবে না। তাই এমন মহান গ্রন্থ অধিকহারে তিলাওয়াত করো। কারণ এর তিলাওয়াতের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা প্রতিটি অক্ষরে ১০টি করে নেকি দান করবেন। (সুনানে দারেমি, হাদিস : ৩৩৫৮)
ওমর (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ : ১/২৭৪-২৭৫)
সৌজন্যে কালের কণ্ঠ
Leave a Reply