সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : চেক ডিজঅনার, বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বুধবার সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহনগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহর আদালত থেকে ৫ হাজার টাকা জামানতে জামিন পেলেন অভিযুক্ত ধানের শীষের প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। জামিনের পর বিকেলে যুগান্তরকে তিনি বলেন, ধানের শীষের গণ জোয়ার ও আমার জন প্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত একটি কুচক্রী মহল আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার লন্ডন প্রবাসী মোঃ আলীকে প্রভাবিত করে হয়রানি করার জন্য মামলা করিয়েছিল। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী জমিয়ত নেতা মাওলানা শাহীনুর পাশার বিরোদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করেন সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহনগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ। জানাযায় গত বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে দন্ড বিধি আইনের ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি মামলা দাখিল করা হয়। যার নম্বর সি আর ১৭১৬/২০১৮ ইং। মামলার বাদি হচ্ছেন, ঢাকার বনানী থানার জি ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসার বাসীন্দা আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে লন্ডন প্রবাসী মোহাম্মদ আলী তালুকদার। মামলাটি দাখিলের পর শুনানী শেষে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার পাটলী গ্রামের আব্দুর ছাত্তার চৌধুরীর ছেলে সুনামগঞ্জ -৩ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর বিরোদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
আদালতে দাখিল কৃত বাদির অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, সিলেটের সুনামগঞ্জ রোডের পাশে মাতৃভূমি হাউজিং ডেভলাপমেন্ট লিমিটেডর একটি প্রকল্প করার জন্য জমিয়তের যুগ্ন মহা সচিব ঐক্য ফ্রন্টের সুনামগঞ্জ -৩ আসনে ধানের শীষের এমপি প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ৩২ লক্ষ টাকা বিনোয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হওয়ার সুযোগের অনুরোধ করলে সেই সুবাধে মোহাম্মদ আলী তালুকদার ২০০৪ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকা প্রদান করেন তার সাথে থাকা আরজু মিয়া ও শামসুল হক পরিচালক হওয়ার জন্য আরো ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন। এক প্রর্যায়ে বিনোয়োগকারি তিনজনই জানতে পারেন তাদেরকে না জানিয়ে ঐ প্রকল্পটি অন্যত্র ৮ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন মাওলানা শাহীনুর পাশা। পরবর্তিতে বিনোয়োগকারী তিনজন তাদের বিনোয়োগ কৃত ৯২ লাখ টাকা সহ লভ্যাংশের টাকা ফেরত চান কিন্তু শাহীনুর পাশা তা দিব দিচ্ছি বলে সময় অতিবাহিত করতে থাকেন । ঐ টাকার ব্যাপারে চলতি বছরে ১৫ই ফ্রেবুয়ারি টাকা পরিশোধের লক্ষ্যে শাহীনুর পাশা তার স্বাক্ষরিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিডেট সিলেট এ ২০ লাখ টাকার তিনটি চেক প্রদান করেন। মোঃ আলী তালুকদার চেকগুলো পেমেন্টের জন্য তার নামিয় গুলশান শাখার ব্রাক ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু শাহীনুর পাশার একাউন্টে টাকা না থাকায় চেক গুলো ডিজঅনার হয়। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেও সুফল মিলেনি।
এব্যাপারে মামলার বাদি তার আরজিতে উল্লেখ করেন শাহীনুর পাশা প্রতারণা মূলকভাবে বিশ^াস ভঙ্গ করে ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন, ফলে তিনি মামলাটি দাখিল করেন।
এব্যাপারে মোঃ আলী তালুকদারের আইনজীবী আছমা বেগম জানান মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করায় আদালতে মামলা করেছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে মঙ্গলবার শাহীনুরপাশার বিরোদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ন মহ-সচিব ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি বুধবার বিকেলে যুগান্তরকে জানান, বুধবার আমি আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত আমাকে জামিন প্রদান করেছেন । তিনি বলেন বাদির সাথে আমার ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক ও ব্যবসায়ীক লেনদেন রয়েছে। আমার জন প্রিয়তা ও ধানের শীষের গণ জোয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল বাদিকে প্রভাবিত করে মামলা করিয়েছে। তিনি মামলা করেই মঙ্গলবার লন্ডনে চলে গেছেন।
Leave a Reply