বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারী গাছ আত্মসাৎকারী যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ খাঁ এখন ইউপি সদস্য প্রার্থী। দীর্ঘ ১৫ বছর পর চলতি বছরের আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে নং ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে লড়াইয়ের প্রত্যয়ে নিজস্ব সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে তিনি এখন চষে বেড়াচ্ছেন ওয়ার্ডের আনাচে-কানাচে।
জানা গেছে,সম্প্রতি জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের জগন্নাথপুরের অংশের বাউরকাপন, শাসননবি ও রতিয়ারপাড়া এলাকায় সড়কের পাশ থেকে সরকারি সাতটি রেন্টি গাছ কেটে নিয়ে যায় মিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ খাঁ। এসময় স্থানীয় লোকেরা বাঁধা দিলে তিনি নিজেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
পরবর্তীতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের শ্রীরামসী ভূমি কার্যালয়ের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রমেন্দ্র নারায়ণ দাস তদন্তে নামেন এবং এর সত্যতা পেয়ে নিজে বাদী হয়ে সাজ্জাদ খাঁ’র বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সেই যুবনেতা কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন।
উপজেলার বাউরকাপন গ্রামের রিয়াজ মিয়া বলেন, প্রকাশ্যে সরকারী গাছ আত্মসাৎকারী ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হলে আরো অনেক অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখাবে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে মিরপুর ইউনিয়নের বাউরকাপন,শাসনহবি ও রতিয়ারপাড়া গ্রামের অনেকে জানিয়েছেন, যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সাজ্জাদ খাঁ মিরপুর বাজার সহ নিজ গ্রামে বীরত্বের ভাব দেখিয়ে চলেন। কাউকে কোনোভাবেই তোয়াক্কা করেন না। আর এরই ধারাবাহিকতায় সেদিন জনসম্মুখে আনুমানিক তিন লাখ টাকা মূল্যের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় এই যুবলীগ নেতা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। জোড়ালোভাবে কারো বাঁধা দেওয়ার সাহস হয়নি।
এর ব্যাপারে অভিযুক্ত সাজ্জাদ খাঁ’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে নিদোর্ষ দাবী করে বলেন, আমার শত্রুপক্ষের লোকেরা গাছগুলি কেটেছে। অথচ এর সম্পূর্ণ দায়ভার আমার ঘাড়ে চাপানো হয়েছে।
Leave a Reply