শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ধর্মগুরু আসারাম বাপু ধর্ষণকে রীতিমতো নেশায় পরিণত করেছিলেন।
গভীর রাতে টর্চের আলো জ্বেলে মেয়েদের ধর্ষণ করতেন তিনি। এর আগে নিজেকে ধর্ষণের জন্য প্রস্তুত করতে পঞ্চবুটি নামে এক ধরনের উত্তেজক ওষুধ সেবন করতেন।
যে ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে আসারামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, মামলার ৪৫৩ পৃষ্ঠায় তার যৌন বিকারের এমন বর্ণনা রয়েছে।
মামলার প্রধান সাক্ষী ও আসারামের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাহুল কে সাচার এ বর্ণনা দেন।
এতে তিনি জানান, গভীর রাতে জানালায় টর্চের আলো পড়লেই তিন নারী সহযোগী আসারামের কক্ষে মেয়ে পাঠাতেন।
আসারাম একসময় তাদের ধর্ষণ করেন। পরে তাদের কাজ হয়ে দাঁড়ায় আশ্রমের মেয়েদের গভীর রাতে আসারামের কক্ষে পৌঁছে দেয়া।
মামলার নথি অনুযায়ী, আসারামের কক্ষে ব্রহ্মজ্ঞান দেয়ার কথা বলে মেয়েদের নেয়া হতো। কিন্তু সেখানে কথিত ধর্মগুরু তাদের ধর্ষণ করতেন।
আর ধর্ষণ শুরুর আগে নিজেকে শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে পঞ্চবুটি নামে ওষুধ সেবন করতেন আসারাম।
রাহুল কে সাচারের সাক্ষ্য অনুযায়ী, এক রাতে আসারামের কক্ষে এক মেয়েকে পাঠালে তার সন্দেহ হয়। তখন তিনি ওই কক্ষের দেয়ালে ওঠে দেখেন আসারাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে।
পরে আশ্রমে কেন এমন কাজ করা হচ্ছে, জানতে চেয়ে আসারামকে চিঠি লেখেন রাহুল। কিন্তু বাপু এর কোনো জবাব না দিয়ে ধর্ষণ অব্যাহত রাখেন।
পরে আবার চিঠি লেখেন রাহুল। তখন তাকে আশ্রম থেকে বের করে দিতে নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন আসারাম।
আসারামের কুকীর্তি নিয়ে কথা বলায় রাহুলের ওপর হামলা চালিয়েছিল আসারামের লোকজন। তবে এতে না দমে ধর্ষকগুরুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালত পর্যন্ত তিনি।
আর রাহুলের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করেই বুধবার রাজস্থানের জোধপুর বিশেষ আদালত আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন
Leave a Reply