শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাংকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক। সেনাপ্রধান ছাড়াও আরো ২০ জন বার্মিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার জন্য জন্য তাকে দায়ী করার পর এমন ব্যবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।
ফেসবুক তার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা মিয়ানমারের ২০ ব্যক্তি ও সংগঠনকে ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছি। তার মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান রয়েছে। একইসঙ্গে এই মিডিয়া জায়ান্ট বলেছে, তারা এধরণের মানুষদের জাতিগত নিধনযজ্ঞ পরিচালনায় ফেসবুককে ব্যবহার করতে দেবে না।
ফেসবুক জানায়, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উত্তেজনা যেন আরও বৃদ্ধি না পায় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘আমরা মিয়ানমারে ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছি। চলতি বছরের শুরু থেকেই মানবাধিকার বিবেচনা করে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করায় এটা আমাদের বিশাল দায়িত্ব। আমরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
এর আগে, সোমবার জাতিসংঘ পরিচালিত আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন জেনেভাতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেশটির সেনাপ্রধানসহ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সেখানে মিন অং হ্লাংকে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতন পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। এর পরেই ফেসবুক থেকে তাকে নিষিদ্ধের এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ।
সুত্র -আমার সংবাদ
Leave a Reply